স্টাফ রিপোর্টার: সরেজমিন কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া ঘুরে। কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন চান মিয়া বাহিনীর অত্যাচার-অবিচার এর সীমা পরিসীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেক পূর্বেই। পরের বাড়ী জবরদখল, চানমিয়ার প্রধান টার্গেট ও ব্যবসা। চানমিয়া বাহিনীর নামে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঁচটি ফৌজদারী মামলা বিচারাধীন আছে। তারপরেও চানমিয়া বাহিনীর জবরদখল, নির্যাতন, হুমকি-হামলা, ভয়-ভীতি, ডাকাতি, খুন-খারাবী, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অসংখ্য অভিযোগ আছে চানমিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে। আধুনিক আইন শৃঙ্খলার যুগে চানমিয়া একাই একশত হলেও বাড়ী জবরদখল ও অত্যাচার ব্যবসার আড়ালে আর কারা আছেন সমুদয় নাম জানা যায়নি। এমনি এক ঘটনায় একজন ভুক্তভোগী পাকুন্দিয়া প্রবাসী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তার স্ত্রী লীমা, নাবালক ২ সন্তান, মা-বোনকে বাড়িতে রেখে চান মিয়ার অত্যাচারে প্রবাসী জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বাদল মিয়া। মোবাইলে বাদল মিয়ার ভাষায়, আমি অত্যাচার নির্যাচন, হুমকি-হামলার ভয়ে দীর্ঘ সময় বিদেশে থাকতে বাধ্য হওয়ার সুযোগে চানমিয়া আমার বসত বাড়ি জবরদখল করার পাঁয়তারা করছেন। বাদল মিয়ার মা, বোন, স্ত্রী ও ২ নাবালক সন্তান জীবনের ভয়ে চরম আতংকে আছেন, সরেজমিনের ঘটনা থলের তথ্য সংগ্রহে জানা যায়।
মনের দু:খ কাউকে বলতে পারছেন না, বুঝাতেও পারছেন, সইতেও পারছেন না। নীরিহ ভদ্র পরিবারের উপর চানমিয়া বাহিনী এই অমানবিক ঘটনা ঘটাচ্ছেন। আবার ও নতুন করে এইক ঘটনা ঘটাচ্ছে। এভাবে অমানুষিক অত্যাচার-নির্যাতনের মাঝে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মানুষ অশান্তিতে বাঁচিতে পারেনা। একটা অজানা অচেনা আতংকে বাদল মিয়ার পরিবার না পারেন বলতে না পারেন সইতে। সহ্যের ও সীমা-পরিসীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেক পূর্বেই।
বাদল মিয়া প্রবাসে থাকার কারণে চানমিয়া বাহিনীর ভয়ে তাহার বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, সন্তান ও বোন চরম আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন। চানমিয়া ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার আরো ২টি বাড়ি প্রাননাশের ভয় দেখিয়ে জবরদখল করে নিয়েছে। বাদল মিয়ার ধারনা, তাহার বাড়িও একই ভাবে চানমিয়া বাহিনী, তিনি বাড়ি না থাকার সুযোগে জবর দখল করে নেবার জোর আশংকা করছেন তিনি। বাদল মিয়া নিজে বাড়িতে না থাকাতে তাহার মা, বোন, স্ত্রী ও সন্তানগন ভয়াবহ হুমকির মুখে আছেন। তিনি বলেন, আমি বাদল মিয়া নিজ বাড়িতে না থাকলে চানমিয়া আমার বাড়ি দখল করে নেবার আশংকা বিদ্যমান।
কিশোরগঞ্জ আদালতে, পাকুন্দিয়া থানায় চানমিয়া বাহিনী ভূমিদস্যুদের নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি-চাদাঁবাজী, ডাকাতি, ছিনতাই, ভূমিদস্যুতা, জবরদখল, হুমকি হামলা, নির্যাতন, মামলা বলা যায় নিত্য দিনের ঘটনা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন কর্তৃক, ইতিপূর্বে এখানে বেআইনী, বেপরোয়া, সামাজিক বিশৃঙ্খলা জনিত কারনে চানমিয়াকে পিটাতে পিটাতে পায়খানা-পস্রাব বের হবার মত ঘটনাও আছে।
তাতেও চানমিয়া নতুন উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলে। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ আদালতে, পাকুন্দিয়ার চানমিয়া বাহিনীর নামে ৫টি ফৌজদারী অপরাধের মামলা বিচারাধীন আছে শোনা যায়। এমনি এক দুধর্ষ ডাকাতের নাম চানমিয়া। যিনি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনশৃঙ্খলা মানেন না এবং তোয়াক্কা করেও চলেন না।
প্রবাসী বাদল মিয়ার ভাষায়, তিনি বাংলাদেশের বাহিরে থাকার সুযোগে অন্যান্য লোকের বাড়ি যেভাবে ধারালো অস্ত্র দ্বারা চানমিয়া বাহিনী জবর দখল করে নিয়েছে, ঠিক সেভাবেই বাদল মিয়ার স্ত্রী, কন্যা, মা, বোন সমেত বাড়ি জবরদখল করার পাঁয়তারা করছে চানমিয়া। ভুক্তভোগীরা জানান চানমিয়া বাহিনীর অত্যাচার মহল্লার অনেকেই চানমিয়া বাহিনীর ভয়ে মুখ বন্ধ করে চলেন এলাকাবাসী।
মানবাধিকার পরিচালক রহিমা বেগম ধানমন্ডি ঢাকা থেকে তাহার মানবাধিকার টিম, কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ পাকুন্দিয়া থানায় অভিযোগকৃত ঘটনাস্থলে চানমিয়া বাহিনীর অত্যাচারের তান্ডব দেখতে তথ্য সংগ্রহে সরেজমিন পাকুন্দিয়া থানার ঘটনাস্থলে যান।
প্রবাসী ভুক্তভোগী বাদল মিয়ার কর্তৃক তাহার পরিবারবর্গকে দেখভাল করার জন্য মানবাধিকার পরিচালক রহিমা বেগমকে দায়িত্ব দিয়েছেন। রহিমা বেগম অন্যান্য মানবাধিকার কর্মকর্তাগণ সহ বাদল মিয়া বাড়ি এলাকার চানমিয়া বাহিনীর নির্মম নিষ্ঠুর অত্যাচারীত মানুষদের, অত্যাচারিত এলাকার সরেজমিন গত ১৪/১১/২০২০ইং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
মানবাধিকার কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগণ সহ সর্বশ্রেণির লোকদের সাথে তাহারা আলাপ-আলোচনা করেন। মানবাধিকার উক্ত টিম পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ও কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের সাথে ও বাদল মিয়ার পরিবারসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেন রহিমা বেগম।
পুলিশ সুপার কিশোরগঞ্জ ও পাকুন্দিয়া থানায় ২টি স্মারকলিপি প্রদানও করেন রহিমা বেগম। তিনি চানমিয়া বাহিনীর অত্যাচারের ঘটনা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেন। চানমিয়া বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ বলে শেষ করা যাবেনা জানান।
জনগন চানমিয়ার কাছে বলির পাঠার অবস্থায় আছে। এছাড়াও আছে অনেক ঘটনা, অনেক অঘটন, অনেক দূর্ঘটনার বর্ণনা দেন, যাহা বলাও যায় না সহাও যায় না। মৌলিক মানবিক বিষয়ে নারকীয় অত্যাচার-অবিচার করছেন চানমিয়া বাহিনী। এবিষয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন এলাকাবাসী। শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।