গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের উদ্যোগে আজ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বুধবার সকাল ১০:৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘চাল, চিনি ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, পিডিবি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ সহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
গণসমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতৃবৃন্দ বলেন, “সরকার করোনার এই সময় চাল-চিনি-তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে সারাদেশের মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে তামাশা করেছে। কারণ করোনার এই সময় সারাদেশের মানুষের দারুন ভাবে আয় কমে গিয়েছে। তার মধ্যে সরকার চাল-চিনি-তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে পথে নামিয়েছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার অসাধু বণিকদের সরকারে পরিণত হয়েছে। অসাধু বণিকরা বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। বণিক নেতারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী টিপু মুন্সি, বণিকদের নেতা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার তারা দুইজন নিজেরা নিজেদের বাণিজ্য উন্নয়ন করার জন্য প্রাণপন চেষ্টা করছে, জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুালি দেখাচ্ছে। চাল ব্যবসায়ীদের গুদামে হাজার হাজার টন চাল থাকার পরেও মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বাধীন চালকল মালিক সমিতি বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি করে বেড়াচ্ছে। বণিক সমিতির নেতারা মন্ত্রী থাকার কারণে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। আর সাধারণ গরীব শ্রেণীর মানুষেরা উচ্চমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে বাদ দিয়ে নতুন সৎ মন্ত্রী নিয়োগ নিয়োগ দিতে হবে। শেখ হাসিনার সরকার যদি এই দুই মন্ত্রীকে বাদ না দেয়, তবে জনগণ মনে করবে সরকার প্রধান নিজেও বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর চোরামির সাথে যুক্ত।”
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতৃবৃন্দ সরকার প্রধানের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তবে এখনই পদত্যাগ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।