মন্দির আছে পুরহিত নাই, সেবাইত মহাসয় বলে খাই, খাই

0
593

বাবুল, তারাগঞ্জ প্রতিনিধি: রংপুর জেলা তারাগঞ্জ থানা, ঐতিহাসিক শ্যামগঞ্জে ৪০ এর দশকের শ্যামা মন্দির যার নামে শ্যামগঞ্জ। এখানে অবস্থিত প্রাচীন জমিদার বাড়ির প্রতিকৃতি। এই মন্দিরের অপর আরও একটি নাম রয়েছে। শ্যামরায় দিওবাটি মন্দির। শ্যামগঞ্জ ঠাকুর বাড়ি নামে বহুল পরিচিত। এই মন্দিরের গা ঘেসে দাড়িয়ে আছে শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির। এই ঐতিহ্যবহি শ্যামা মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা জমিদার শ্রী অজিত নাথ দাস বাহাদুর। তিনি নিজেই সেবাইতের দায়ীত্ব পালন করিতেন বলে জানা যায়। হিন্দু ভক্তবিন্দু বলেন এখানে পুরহিত ছিলেন শ্রী মানেশ^র দেব শর্মা, প্রতিদিন মন্দিরে তিন বার করে ভোগ হইতো এবং ০৫ প্রকার ডাল সবজি মিশ্রনে খিচুরী প্রসাদ তৈরী হতো। সকাল, দুপুর ও সন্ধায় পুরোহিত শর্মার ঘন্টা ও শঙ্ক ধনিতে ছুটে আসতো পাড়ার দামাল ছেলে-মেয়ে ও হিন্দু মুসলিম, দুস্থ: বুড়া-বুড়িরা। তাহারা পদ্মার পাতায় করে পেট ভরে খেত খিচুরী প্রসাদ। জমিদার বাহাদুর বিদায়ের সময় সেবাইতের দায়ীত্ব শ্রী রাম বড়াই শিং কে প্রেরন করেন। তিনি পুর্বের নিজুক্ত পুরোহিত কে বাদ দিয়ে মন্দিরের সেবার জন্য নতুন পুরোহিত নিজুক্ত করেন।

তার নাম শ্রী অনন্ত চট্রপদ্ধায়। এই ঠাকুরের আমলে কিছুদিন পর্যন্ত প্রসাদ পাওয়া গেছে এবং অবশেষে পুরোহিত বেচারা তার মাসিক ধার্জ করা ভাতা দীর্ঘদিন না পেয়ে দায়ীত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। ভক্ত বিন্দুদের মতে প্রকাশ, বিদায়ী পুরোহিত এখন পর্যন্ত তার পাওনা ভাতার  টাকা নিতে পরোলোক গামী সেবাইত শ্রী রাম বড়াই শিং এর বংশধরদের নিকটে আসেন।

ভক্ত বিন্দু অনুসন্ধানী টিম কে জানায় বর্তমান মন্দিরের সেবাইত সর্গগামী বংশধরগন সকলে, তারা প্রায় তিন একর জমি ভোগ করিতেছে। গাছ-পালা, বাস কলা সবই ভাগ করিয়া ভোগ করিতেছে। এই শ্যামগঞ্জ এলাকায় হিন্দু মুসলিম অংশে সমান।

হিন্দুরা মন্দির সংস্কার, নতুন কমিটি গঠন, পুর্বের ন্যায় পুরোহিত নিজুক্ত করিতে চাহিলে পুর্বের সেবাইতের বংশধরগন শ্রীমতি বেলী রানী শিং, শ্রী বিকাশ শিং, শ্রী দিলীপ শিং বলেন এই শ্যামা মন্দির, শ্রী দুর্গা মন্দিরসহ দেবত্তরের সকল সম্পত্তি জমিদার শ্রী অজিত নাথ দাস বাহাদুর আমাদের

পুর্ব পুরুষ সর্গগামী সেবাইত শ্রী রাম বড়াই শিং এর নামে লিখে দিয়ে গেছেন। তাই দেবত্তরের সব কিছুই আমাদের হস্থগত। হিন্দুদের মতে সরকারী দেবত্তরের নামে জমি কিভাবে জমিদার লিখে দিতে পারেন। সঠিক রাস্তায় চলুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen + 12 =