মানবসেবায় নিয়োজিত দক্ষিণ পতেঙ্গার ওয়াহিদ চৌধুরী

0
442

রাশেদুল ইসলাম: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে প্রতিটি দুর্যোগ-দুর্বিপাকে জীবনের ঝুকি নিয়ে চট্টগ্রামের দক্ষিণ পতেঙ্গা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর সেবায় কাজ করে চলেছেন সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ চৌধুরীর যোগ্য পুত্র ওয়াহিদ চৌধুরী। এলাকাবাসীর যে কোনো সংকটে নিজেকে সমর্পণ করছেন তিনি। অনেকের মতে, চলতি ধারার রাজনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত এক চরিত্র সাবেক কাউন্সিলর পুত্র ওয়াহিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে মানবকল্যাণের মিশনই তার একমাত্র ব্রত। সে কারণে দল-মত নির্বিশেষে স্থানীয়দের কাছে তিনি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। তার বাবা আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ চৌধুরী কাউন্সিলর হয়ে এক সময়কার অবহেলিত, বঞ্চিত, অনুন্নত ও বৈষম্যের শিকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডবাসীকে দেখিয়েছেন স্বপ্ন। পিতা-পুত্র আধুনিক চিন্তা-চেতনার মেলবন্ধন ঘটিয়ে সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ডকে দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘুচিয়েছেন অপরিচ্ছন্ন ওয়ার্ডের বদনাম। আধুনিকায়ন করেছেন ড্রেনেজ ব্যবস্থার। ওয়ার্ডকে করেছেন জলাবদ্ধতামুক্ত। প্রশস্ত করেছেন রাস্তা ও ফুটপাত। সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজও করেছেন সমানতালে। দলীয় নেতাকর্মী তো বটেই, স্থানীয় নাগরিকরাও বাবা-ছেলের গতিশীল কাজে মুগ্ধ। করোনাকালে বাবার একজন যোগ্য সন্তান হিসেবে ওয়ার্ডবাসীর কাছে নিজেকে পরিচিত করেছেন ওয়াহিদ চৌধুরী।

মহামারীর চরম বিপর্যয়ের দিনেও যখন অনেক রাজনীতিক বা জনপ্রতিনিধির হদিস পায়নি কর্মহীন মানুষ, সেই সময়েও বাবা সালেহ আহমেদ চৌধুরীর মতো ওয়াহিদ চৌধুরী ‘জীবনবাজি’ রেখে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অর্ধাহারে বা অনাহারে দিন অতিবাহিত করা মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা, বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া, অনলাইন ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে জরুরি রক্তের প্রয়োজনে রক্তের ব্যবস্থা করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সহযোগিতা করা,

করোনায় মানুষকে সচেতন করে লিফলেট বিতরণ, বিনা মূল্যে গরিব মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থান ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, মসজিদে মসজিদে হাত ধোয়ার জন্য সাবান দেওয়া, লকডাউনে মানুষকে ঘরে থাকতে সচেতন করার নিজের জীবন বাজি রেখে এমন অনেক কাজ নি:স্বার্থভাবে করে যাচ্ছেন ওয়াহিদ চৌধুরী।

‘শুধু ত্রাণ নয়, বিনামূল্যে সরবরাহ করেছেন অক্সিজেন সিলিন্ডারও। মহা এ দুর্যোগ মুহুর্তে আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক ওয়াহিদকে সার্বক্ষণিক কাছে পেয়ে এলাকাবাসী উৎফুল্ল ও অনুপ্রাণিত। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, তিনি শুধু যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তানই নন, সবার কাছে এখন একজন প্রকৃত ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’। প্রাণঘাতি করোনার এ বিপদসংকুল মুহূর্তে মৃত্যুকে ‘পরোয়া’ না করে ভয়কে জয় করে এলাকাবাসীর পাশে সার্বক্ষণিক থেকে তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ‘করোনা’

জয়ে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে ওয়াহিদ চৌধুরী প্রমাণ করলেন-তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক ‘মাটি ও মানুষের’ নেতা। শুধু করোনাভাইরাসের সময় নয়, ছোট থেকেই বাবা আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ চৌধুরীর হাত ধরে নি:স্বার্থভাবে নীরবে মানুষের সেবা করে আসছেন তিনি। মানুষের উপকার বা সেবা করাই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পেয়েছেন পারিবারিকভাবে শিক্ষাও।

এলাকায় মাদক-সন্ত্রাস নির্মূলেও নিয়মিত কাজ করছেন ওয়াহিদ। মহল্লাভিত্তিক নিয়মিত কাউন্সিলিং করে যাচ্ছেন তিনি। তরুণ ও যুবকদের সোচ্চার করে তুলেছেন, করে তুলছেন মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। এসব ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজসেবক ওয়াহিদ চৌধুরীর বক্তব্য-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ছিল তার জীবন।

ইতিহাসের এই শ্রেষ্ঠ পুরুষের সুযোগ্য কন্যা, দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। ছোট থেকেই দেখেছেন মুজিব আদর্শ বুকে নিয়ে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি ওয়ার্ডবাসীর উন্নয়নে কাজ করছেন বাবা আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ চৌধুরী। আর এসকল চেতনা ধারণ করেই আজীবন মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান ওয়াহিদ চৌধুরী।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 1 =