রাস্তায় দোকান বসিয়ে ইপিজেড থানার কথিত ক্যাশিয়ারদের চাঁদাবাজি !

0
524

রাশেদুল ইসলাম: বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম নগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকা ইপিজেড। প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক কর্মজীবি মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে ইপিজেড মোড়ের নিউমুরিং এর সড়কটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি চলাচলের রাস্তা নাকি ব্যবসাকেন্দ্র। ইপিজেড মোড় থেকে রেলবিট পযর্ন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে শতাধিক ভাসমান দোকান রয়েছে। হাঁটার জায়গাজুড়ে পণ্যসামগ্রীর পসরা আর হকারদের ব্যস্ততা। চলাচলকারী মানুষের দূর্ভোগের অন্যতম কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার দুপাশের ভাসমান দোকানগুলি। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও জানালেন তাদের দুর্ভোগের কথা। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তারা। একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন মাদ্রাসায় যেতে খুবই দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ভ্যানগাড়িগুলোর কারণে অনেক সময় আমরা চলাচলের সময় রিক্সার নিচে পড়ে যাই। আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চলাচলের জন্য হকারমুক্ত এবং নিরাপদ সড়ক চাই। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির কাছে নালিশ দিয়ে এখনো কোন সুরাহা না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও এলাকাবাসী। তাদের দাবি, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কোন সুদৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।

মসজিদে নামাজ পড়তে আসা একজন মুসল্লী জানান, এ পর্যন্ত বহুবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই দূর্ভোগ কমছে না। স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি সালামতউল্লাহ বাবু নগরী বলেন, ভাসমান হকারদের কারণে সরু হয়েছে চলাচলের রাস্তা। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।

নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদেরও খুবই কষ্ট হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার সমাধান চেয়েও কোন সুরাহা পাই নি। অবৈধ দখলদাররা জনগণের চেয়েও শক্তিশালী।

অবশ্য ভাসমান দোকানিরা বলছেন, দোকান অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনের জন্য নিয়মিত ১০০ টাকা করে চাঁদা দিচ্ছেন তারা। এর নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। মামুন, সাদ্দাম নামে দুই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।

অভিযোগ রয়েছে, কথিত ক্যশিয়ার মামুন ও সাদ্দাম প্রতিটি অবৈধ দোকান বসাতে এককালীন এবং দৈনিক ভিত্তিতে ইপিজেড থানার জন্য চাঁদা তুলে। আর এর মাধ্যমে বৈধতা পেয়ে যায় অবৈধ এ ভাসমান দোকানগুলি।

যার কারণে দূর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকে। তবে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ উৎপল বড়ুয়া জানান, ইপিজেড থানা এলাকায় কোন ভাসমান দোকান চোখে পড়ে নি তার।

প্রতিবেদকের কাছে এই প্রথম এ ধরণের অভিযোগের কথা শুনেছেন তিনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। স্থানীয় প্রশাসনের চোখে ভাসমান দোকানগুলি অদৃশ্য হলেও অভিযোগের কথা স্বীকার করলেন ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত সাদ্দাম। অভিযুক্ত সাদ্দাম বলেন, দোকানগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলবেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 4 =