আনুশকার ঘটনার মত, ইউল্যাব শিক্ষার্থী মাধুরীর ঘটনা: নেহা ও তার বন্ধুকে খুঁজছে পুলিশ

0
510

বছরের শুরুতে রাজধানী কলাবাগান এলাকায় একটি শিক্ষার্থীর সাথে তার বন্ধু যে ঘটনা ঘটায় তার রেস কাটতে না কাটতে ফের আরও এক শিক্ষার্থীর সাথে তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থী ফারাহ মাধুরী তার বন্ধুদের সাথে একটি রেস্টুরেন্টে যায়। এরপর তারা সবাই সেখানে অবৈধ জিনিস পান করে। আর এই অবৈধ জিনিস পান করার পর এই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সাথে বাসায় যায়। অভিযোগ উঠেছে এই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর বাসায় যাওয়ার পর তার সাথে অনৈতিক কাজ করে তার বন্ধু। আর এবার এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেল।

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থী ফারাহ মাধুরীর সাথে অ’নৈতিক কাজ ও হ’ত্যা’র ঘটনায় দু’জনকে খুঁজছে পুলিশ। তারা ঘটনার দিন উত্তরার ’ব্যাম্বু সুট’ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে অবৈধ জিনিস পান করেছিল। পুলিশ বলছে, তাদেরকে পাওয়া গেলে ঘটনার অনেক রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউল্যাবের ওই নারী শিক্ষার্থী তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান চৌধুরীসহ পাঁচজন উত্তরার ’ব্যাম্বু সুট’ রেস্টুরেন্টে যায় এবং অবৈধ জিনিস পান করে। এ সময় নেহা নামে তাদের এক বান্ধবী অবৈধ জিনিস পানে অসুস্থ হয়ে পরলে সে (নেহা) ও তার বন্ধুকে উবারে তুলে দেয়া হয়। রেস্টুরেন্টে অবস্থানের সময় ইউল্যাবের ওই নারী শিক্ষার্থীও অসুস্থতা বোধ করে। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় তাফসির নামে মোহাম্মদপুর এলাকায় তাদের এক বন্ধুর বাসায়। যেটি ছিল মোহাম্মাদীয়া হোমস লিমিটেডের তিন তলার একটি ফ্ল্যাটে।

পরের দিন (২৯ ডিসেম্বর) ওই বন্ধুর বাসায় থাকাকালে ইউল্যাব শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান। এতে সে আরও অসুস্থতা বোধ করলে গভীর রাতে তাকে প্রথমে নেয়া হয় কল্যাণপুরের ইবনে সিনা হাসপাতালে।

সেখানে লাইফ সার্পোটের ব্যবস্থা না থাকায় ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর।

এদিকে, ৩০ জানুয়ারি ওই নারী শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানায় তার বয়ফ্রেন্ড রায়হান। এ সময় তার বাবা (ইউল্যাব শিক্ষার্থীর) চট্টগ্রাম থেকে আসেন এবং মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। সে সময় ওই নারী শিক্ষার্থী আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এদিকে, মামলার এজাহারে থাকা তিন নম্বর আসামি আরাফাত মামলার আগের দিন (৩০ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং অনেক গোপনীয়তার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। যা পুলিশ রবিবার বিকালে জানতে পারে।

নারী শিক্ষার্থীর সাথে অ’নৈতিক কাজ ও পর হত্যার অভিযোগ উঠলেও সোহরাওয়ার্দীর ফরেনসিক বিভাগ ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক অ’নৈতিক কাজের আ’লা’ম’ত পাওয়া যায়নি। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে একমাস লাগতে পারে। এরপরই বোঝা যাবে অতিরিক্ত অ’বৈধ জিনিস পানে তার মৃত্যু হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীর বাবার করা মামলায় নেহা ও তার বন্ধুকে (অজ্ঞাত) পাওয়া গেলে ঘটনার দিনের অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া আমরা ঘটনার দিনে রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সূত্র:ব্রেকিংনিউজ

এদিকে, রাজধানী ঢাকা শহরের কলাবাগান এলাকায় আনুশকার ঘটনা ঘটার এক মাস যেতে না যেতে আরও এক শিক্ষার্থী এভাবে না ফেরার দেশে চলে গেছেন যা নিয়ে আবারও আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন পরিবারের শিক্ষার অভাবেই দিন দিন এমন ঘটনা বেড়ে চলেছে। আর এবার এই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধুকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে অনেক তথ্য সংগ্রহ করছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + 18 =