সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসার নামে ব্যবসায়িক পার্টনারের ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার পাচারচক্রের মূলহোতা সাইফুল ইসলাম সাইফ অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রয়ারি) রাতে মিরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর বাজার থেকে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম মিরসরাই উপজেলার পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পলাতক সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রাতে গোপন খবরের ভিক্তিতে দুর্গাপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সাইফুল বলেছে এটা তার বৈধ অস্ত্র। তবে তার স্বপক্ষে কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।’
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানিকৃত পণ্য ও কন্টেইনার গায়েবচক্রের মূলহোতা সাইফুলের বিরুদ্ধে রয়েছে অন্তত অর্ধডজন প্রতারণা ও লুটপাটের মামলা ও একডজন সাধারণ ডায়রি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যখালাসের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি ও বন্দর থানায় হওয়া একটি মামলায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আছে পণ্যখালাসের নামে আত্মসাৎ ও একাধিক প্রতারণা মামলায়ও।
জানা গেছে, জাল ডকুমেন্টে পণ্যখালাস ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এরই মধ্যে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বন্দরের কন্টেইনার ও পণ্যলোপাট চক্রের হোতা সাইফুল ইসলাম।
নওশাদ মাহমুদ রানা নামে সাবেক এক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতার কাছ থেকে সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসার নামে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টাকা না দিয়ে বাঁচার জন্য সাইফুল গত বছরের ১৭ অক্টোবর শুক্রবার নিজেকে অপহরণের নাটক সাজান। পরে সে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায় গণমাধ্যমে।