মাদক সম্রাট মাজেদ খানের অপকর্মের শেষ কোথায় ?

0
709

জেমস এ কে হামীম: উত্তরা আজমপুরে অবস্থিত রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স মার্কেটে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘরোয়া লড়াই এখন প্রকাশ্য হানাহানিতে রুপ নিয়েছে। মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ড ও বাহিরের গলিগুলোতে গত ৪ নভেম্বর বুধবার থেকে অবৈধ দোকান উঠানো নিয়ে চলছে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান। ৫ তারিখ সকালে মাজেদ খাঁন দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ৬ষ্ঠ তলার ম্যানাজার মিন্নত আলীর আন্ডার গ্রাউন্ডের দোকান স্থানীয় মাস্তান দিয়ে ভেঙ্গে দেন। এ নিয়ে মিন্নত আলী উযত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। ডায়রী নং ৪১৩, তারিখ ৫/১১/২০২০। মার্কেটটিতে এ হানাহানির অন্যতম কারন হল ৩টি নিয়ন্ত্রক কমিটি। নিয়ন্ত্রক কমিটির একটি হল রাজউক কর্মচারি সমিতি অপর দুইটির একটি হল ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিকলীগের সহ: সভাপতি দাবিদার মাজেদ খাঁন এবং যুবলীগের মামুন সরকার ও বাংলাদেশ জাতীয়বাদী যুবদলের আজমুল হুদা মিঠু কর্তৃক ফ্লোর বরাদ্ধ নেওয়া ৫ম তলার মোবাইল মার্কেট। তৃতীয় কমিটি হল ৬ষ্ঠ তলার কম্পিউটার মার্কেটসহ ১০ম তলা পর্যন্ত ফ্লোর বরাদ্ধ নেওয়া হাবিব মোহাম্মাদ সাইফুল্লাহ’র। ৫ম তলা মোবাইল মার্কেট চলে শ্রমিকলীগ নেতা মাজেদ খানের নামে আর ৬ষ্ঠ তলা কম্পিউটার মার্কেট চলে সাইফুল্লাহ’র নামে। এ দুই গ্রুপের মানসিক লড়াই প্রকাশ্যে আসার কারনে রাস্তা-ঘাট এমনকি স্বয়ং মার্কেটের ভেতরে পক্ষ- বিপক্ষের  লোক লক্ষ করে ( টার্গেট বানিয়ে) মাদক দিয়ে গ্রেফতার, দোকান ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিসহ নানানবিধ নির্যাতন ও হুমকির স্বীকার হচ্ছে সাধারন ব্যবসায়ীরা। প্রতিবেদক সরে জমিন অনুসন্ধানে যে সব দুর্নীতি দেখতেপান তা হল, রাজউক কর্মচারি সমিতি কর্তৃক নির্মিত এই মার্কেট উন্নয়নের জন্য ফ্ল্যোর মালিক ও নেতা প্রকৃতির দোকান মালিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি কমিটি।

বর্তমানে যে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সাবেক দুর্নীকিবাজ সাধারন সম্পাদক মাজেদখাঁনকে আর সাধারন সম্পাদক করা হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুলকে। এই উন্নয়ন কমিটির ধাপ আর প্রতাপ হল মার্কেটের গ্রাউন্ড ফ্ল্যোর থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত, যা রাজউক সাধারন মানুষের কাছে দোকান পজিশন হিসেবে বিক্রি করেছে। কিন্তু বর্তমান কমিটির সভাপতি তার ৫ম তলার মোবাইল মার্কেটে এই প্রতাপ ছড়াতে দেননা আর ৬ষ্ঠ তলায় পারেননা। তাদের সমস্থ দাপুটেভাব উফরে পড়ে রাজউক কর্মচারি সমিতি কর্তৃক বিক্রিত গ্রাউন্ড ফ্ল্যোর থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত ৩৬০ টি দোকানদারের উপর। এই ৩৬০ টি দোকানদারের পজিশনেই তাদের ভাঙ্গা গড়া চলে।

মার্কেটটিতে নিয়মীত ভাঙ্গাগড়া চলমান রাখতে গঠিত হয় পকেট কমিটি। পকেট কমিটি গঠনের মূল উদ্দ্যেশ্য আত্বসাত। একটি যুগোপযোগি মার্কেটের সুন্দর্য নষ্ট করে অবৈধ দোকান বাড়িয়ে তার জামানত ও ভাড়া আত্বসাতই  মূল উদ্দ্যেশ্য। ২০০৭ সালে  নামে মাত্র একটি নির্বাচনের মাধ্যমে উন্নয়ন কমিটি নামে একটি কমিটি গঠিত হয়। এর পর থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতি দুই বছর পর হঠাৎ করে একটি পকেট কমিটির ঘোষণা শুনতে পান। গত বছর ব্যবসায়ীরা পকেট কমিটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে একটি সমাবেশের আয়োজন করলে পকেট কমিটির সভাপতি এমরান নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নির্ধারনের ঘোষণা করলে মাজেদ খাঁন ও নান্নুর রোষানলে পরে নতুন পকেট কমিটিতে সভাপতির পরিবর্তে উপদেষ্টাতে পরিনত হন।

রাজউক কর্মচারি সমিতির সাধারন সম্পাদক ও রাউকের ৬ নং জোনের অথরাইজ অফিসার আওরঙ্গজেব নান্নুর দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাই মার্কেটটি আজকের এ অবস্তা।  দীর্ঘ দিন পকেট কমিটির সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান পকেট কমিটির সভাপতি মাজেদখাঁনকে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এ বিষয়ে মাজেদ খাঁনের ছেলে ও বর্তমান পকেট কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাজিম এর সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে একাধিকবার বলেন, আমার বাবাকে কমিটি থেকে বাদ দিতে হলে নান্নুকে ২ থেকে ৩ কোটি টাকার খেসারত দিতে হবে।

পকেট কমিটির বিষয়ে নান্নুর সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, মাজেদ খাঁনের কাছে রাজউক কর্মচারি সমিতি ২ থেকে ৩ কোটি টাকা পাবে, মাজেদ খাঁন দুর্নীতিবাজ হওয়া শর্তেও আমরা তাকে বাদ দিতে পারছিনা। বর্তমান পকেট কমিটিতে মাজেদ খাঁনকে সভাপতি করার বিষয়ে কমিটির একাধিক ব্যক্তি জানান, মার্কেটের পশ্চিম পাশে ও ৫ নং রোডে মার্কেটের সিড়িতে এবং আন্ডার গ্রাউন্ডে দোকান উঠিয়ে এক কোটি টাকা নেওয়া যাবে, এ টাকা থেকে নান্নুকে  ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়ার শর্তে মাজেদ খাঁনকে সভাপতি বানিয়েছেন। গত কয়েক মাস যাবৎ ৫ নং রোডের সিড়ির সামনে দোকান বানানো নিয়ে দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান চলছে। 

গ্রাউন্ড ফ্ল্যোরে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে পকেট কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ৬তলার ম্যানাজার মিন্নত আলী এবং আরো ২জন থেকে  থেকে নান্নু ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে মিন্নত আলী প্রতিবেদককে জানান। এ নিয়ে গত ৪ নভেম্বর বুধবার মাজেদ খাঁনের সাথে তাদের মুখোমুখি অবস্থান দেখা গেছে। এর যদি কোন সুস্থ সমাধান না হয়, তাহলে অবৈধ দোকান উঠানো নিয়ে যে কোন মূহুর্তে রক্তাক্ত হতে পারে সরকারি কর্মচারিদের শ্রমের টাকায় নির্মিত এই মার্কেট। মার্কেটটির বর্তমান পকেট কমিটির একাধিক সদস্য প্রতিবেদককে উপহাস করে বলেন, এর জন্য দায়ী রাজউক স্থপতিদের করা যুগোপযোগী আধুনিক নকশা। এ নকশা উন্নয়ন কমিটির আয়ের পথে বাধ হয়ে দাড়ায়।

তাই উন্নয়ন কমিটি আজমপুরের লেবার মার্কেটের শ্রমিক দিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গাভাঙ্গি করে চেহারায় পরিবর্তন এনে শতাধিক দোকান বাড়িয়ে নতুন নকশায় গড়ে তোলেন। যে নকশা রাজউক  স্থপতিদের নকশার সাথে কোন মিল নেই। বর্তমানে মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ড, ১ম থেকে ৪র্থ তলা ও মার্কেটের দুই পাশ মিলিয়ে ৪০ টির মতো দোকান উঠানো নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে  চলছে মুখোমুখি অবস্থান।

মাজেদ খাঁন তার মোবাইল মার্কেটের দোকান বৃদ্ধি ও যাতায়াত সুবিধার জন্য মার্কেটের ৪র্থ তলার উপরের ছাদের অংশের সাথ ৫তলা ফ্ল্যোর বাড়িয়ে একটি বিশাল রেষ্টুরেন্ট ও ২০টি মতো দোকান বৃদ্ধি করে তা ভাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার মোবাইল মার্কেট ও রেষ্টুরেন্ট এর সুবিধার জন্য মার্কেটের দুই পাশে নতুন করে দুটি লিফ্ট স্থাপন করেন। মার্কেটে অবৈধভাবে ভেতর-বাহির এবং গ্রাউন্ড ফ্ল্যোরের কার পার্কিং, মসজিদের জায়গা এবং প্লট সীমানায় নতুন করে তৈরী করা শতাধিক দোকান পজিশন হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে তা বিক্রি করেন। একেকটি দোকান ২০ থেকে ৩০ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত মৌখিকভাবে বিক্রি ও জামানত নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। গড়ে ২০ লাখ টাকা হিসাব করলে শতাধিক দোকান থেকে ২০ কোটি আসে। রাজউক কর্মচারি কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স মার্কেটে অবৈধভাবে তৈরী করে বিক্রিত দোকানের পাশাপাশি রয়েছে ভাড়ায় চলিত অর্ধশতাধিক দোকান। একেকটি দোকানের ভাড়া নিম্নে ২০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ১ কোটি টাকার চেয়ে বেশী ভাড়া আসে।

৪র্থ তলার ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন এর জায়গায় মাজেদ খানের অবৈধ ২০টি দোকান ও রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। ৪র্থ তলার উপরে ২০ থেকে ২৫ ফিট জায়গা খালি রেখে ৫ম তলা থেকে উপরের অংশ করা হয়। ৪র্থ তলার ছাদের  ঐ খালি অংশে ৫ম তলার ছাদ বাড়িয়ে বানিয়েছেন বিশাল রেষ্টুরেন্ট ও ২০টি দোকান। একেকটি দোকানের ভাড়া ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। মাসে শুধু দোকান ভাড়া বাবদ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। আর তার রেষ্টুরেন্ট ভাড়া আছে ২ লক্ষ টাকার উপরে।

রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স এর উত্তর পাশের একটি অংশ যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাদিক সূত্র জানায়। ভেঙ্গে পড়া ঠেকানোর জন্য ইট দিয়ে পিলাড় করে তা ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুকিপূর্ন স্থানটিতে রয়েছে মাজেদখাঁনের ৫ম তলা মোবাইল মার্কেটের অফিস। এ কারনে কেউ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার সাহস রাখেননা। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পার্শ্বে ৭৫-৭৬ নম্বর রাজউকের অবৈধ প্লট দখল করে হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০ কোটি টাকা।

মাজেদ খানের মাদকের থাবা: উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর ২৩ নম্বর রোডে মাজেদ খানের অবৈধ মাদকের বার। যেখানে প্রকাশ্য বিক্রি হচ্ছে বিদেশি মদ, বিয়ার হিরোইন, ইয়াবার মত মাদক দ্রব্য। তার মাদকের এই গোডাউনের নাম মেরিনো হোটেল যার পরিচালনা করেন জুয়েল নামের এক মাদক সম্রাট। এ বিষয়ে জুয়েলের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

মাজেদ খানের ঢাকা হোটেল যেন মিনি পতিতালয়: দক্ষিন খানের আশকোনায় অবস্থিত মাজেদ খানের ঢাকা হোটেল যেখানে মেয়েদের দিয়ে অনৈক কাজ করেন এমনটা জানান স্থানীয় জনৈক এক লোক। তিনি আরো বলেন, তার অপকর্ম শেষ নেই খুন খারাপী অপরাধ মূলক কাজ তার নিত্য দিনের সঙ্গী।

মাদক ও একাধিক হত্যা মালার আসামী মাজেদ খাঁন:

মাজেদখাঁন বর্তমানে ডিবির করা মাদকের চোরাচালান মামলায় গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকার কারনে প্রকাশ্যে চলাফেরা করেননা। গত ২১/১১/০১৯ তারিখে মাদক চোরাচালান অভিযোগে ডিবির হাতে আটক দুই জনসহ মাজেদ খাঁনকে প্রধান আসামী করে ডিবি পুলিশের সহকারী পরিদর্শক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-৩৭। এ ছাড়াও মাজেদ খাঁনের বিরুদ্ধে হত্যা-খুন, ধর্ষনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

১৯৯৯ সালে আওয়ামীলীগের শাসনামলে তৎকালীন বৃহত্তর উত্তরা থানায় ১টি হত্যা মামলা হয়, মামলা নং-২৫ (১১) ৯৯, ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময়কালে বিমান বন্দর থানায় ১টি মামলা দায়ের হয়, মামলা নং-৩৮ (১) ০৩ এবং তৎকালীন বৃহত্তর উত্তরায় থানায় আরো ২টি মামলা দায়ের হয়, মামলা নং ৪৬ (৫) ০২ এবং ০১ (০৭) ০৩। মাজেদখাঁনের মামলার বিষয়ে ফেসবুকে তার পক্ষে প্রচারনা চালানো এক প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেন, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিলের জন্য করা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রমিকলীগের ঢাকা মহানগনর উত্তর এর এক নেতা জানান, আগের মামলাগুলো যদি উদ্দ্যেশ্য হাসিলের জন্য হয়ে থাকে তাহলে বর্তমানের মামলা সম্পর্কে সবারই জানা, আর বিএনপির আমলে উত্তরার ক্ষমতাসীন নেতা হিসেবে যুবদলের আজমুল হুদা মিঠুর নাম সকলের কাছেই পরিচিত, তিনি মাজেদখাঁনের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীক পার্টনার, যার কথায় উত্তরায় সবকিছুই হতো। তাই তার কোন মামলা রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিলের জন্য হয়নি।

সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন যে কোন এলাকায় ব্যবসা বানিজ্যের জন্য প্রথম শর্ত সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স। কিন্তু রাজউক মার্কেটের ৯ শতাধিক দোকানে কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই বলে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খাঁন জানান, বিষয়টি আমি আরো কয়েকবার শুনেছি, কিন্তু ভবনটি যেহেতু রাজউক কর্মচারিদের, এজন্য আমরা রাজউকে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  

রাজউক কর্মচারি সমিতি পুরো মার্কেটে ৬ শতাধিক দোকান ও ৫টি ফ্ল্যোর বিক্রি করলেও ক্রেতাদের কোন রেজিস্ট্র দেয়নি। মার্কেটের একটি সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ে রাজউক যদি বিক্রিত দোকান ও ফ্ল্যোরের রেজিস্ট্রি দেয়, এতে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা ভ্যাট-টেক্স আসবে। রাজউক মার্কেটের প্রাথমিক প্ল্যান পাশ হয় ৬ষ্ঠ তলা পর্যন্ত।

পরবর্তী সময়ে রিপ্ল্যাস প্ল্যানিং এর মাধ্যমে ৭ম, ৮ম ও ৯ম তলা বাড়ানো হয়। কিন্তু ঝুকিপূর্ন বিবেচনা করে ১০ তলার রিপ্ল্যাস প্ল্যানিং অনুমোদিত হয়নি। অনুমতির বাহিরে হাবিব মোহাম্মাদ সাইফুল্লাহ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ১০ম তলা নির্মান করেন। এ বিষয়ে হাবিব মোহাম্মাদ সাইফুল্লাহর ম্যানাজার মিন্নত জানান, ১০ তলার রিপ্ল্যাস প্ল্যানিং হয়নি আমরা তা জানি। মিন্নত প্রতিবেদককে আরো বলেন, আমি আমার স্যারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে আপনাকে জানাবো।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − 14 =