Site icon Aparadh Bichitra

ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশ অমান্য করে অঞ্চল-০৫ সুপার ভাইজার বকুলের অনিয়ম দুর্নীতি অব্যাহত আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশে বিভিন্ন অফিসে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর ক্ষমতা অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন এবং আইন প্রয়োগ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনগত প্রক্রিয়ায় অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। উদাহরন স্বরুপ ডিএনসিসি কর্মরত অঞ্চল-০৫ এর লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপার ভাইজার (মুলপদ-লেজার কিপার) বজলুল মোহাইমিন বকুলের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের উৎস কি ? অনুসন্ধানে জানা যায় বজলুল মোহাইমিন বকুলের কাজ হলো ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদন ফরম জমা নেওয়া ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা, রিসিট কাটা, চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া, ব্যাংক হইতে চালান আনা ও ডিসিআর বহিতে পোষ্টিং দেওয়া কিন্তু বকুল তা মোটেও নিজে করেন না বরং বহিরাগত দালালদের মাধ্যমে করে থাকেন। বকুল অফিসে নিজে কাজ করে না। বহিরাগত ৮-৯ জন দালাল/টেন্ডুল দিয়ে অফিসের কাজ করিয়ে থাকে। লাইসেন্স বই লেখানো, রিসিট কাটা, চালান লেখানো ও প্রস্তাব তৈরি করা ইত্যাদি নিজে না করে দালাল বা টেন্ডুল কে প্রতিদিন ৫০০/- টাকা করে হাজিরা দেন। এ বেতন দেওয়ার উৎস কি? পাশাপাশি বকুল দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের চুক্তি করে থাকে এটা কোন বৈধতা নেই যাহা অনিয়ম ও দুর্নীতি। তিনি দিনে অফিসে কাজ করে না, সারাদিন বিভিন্ন দালালি কাজে অফিসের বাহিরে থাকে এবং নগর ভবন ও বিভিন্ন আঞ্চলিক কার্যালয়ে দালালি ও তদবির কাজে ব্যস্ত থাকে যেমন: বদলী বাণিজ্য,

পদোন্ননিতির জন্য ঘূষ গ্রহন, মালি, দারোয়ান ও পিয়নকে ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতি দিয়ে হিসাব সহকারীর দায়িত্ব দেওয়ার জন্য টাকার বিনিময়ে কন্ট্রাক করে থাকে। আবার হিসাব সহকারী, লেজার-কিপার নিম্নমান সহকরীকে লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপার ভাইজার ও রেভিনিউ সুপাইজার ইত্যাদি পদে পদোন্নতি দেওয়ার কথা বলে, এ পর্যন্ত ১৩ জন কর্মচারীর কাছ থেকে ৫১,০০,০০০/- (একান্ন লক্ষ) টাকা ঘুষ গ্রহন করেছেন। নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাদেরকে বলে রেখেছেন মেয়রকে দিয়ে এসব কাজ করিয়ে দিবেন। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফিসে গিয়ে মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে বলে চলছেন সে নাকি বকুলের আত্মীয়।

মাননীয় মেয়র আতিকুল ইসলাম নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে কারওয়ান বাজার অফিসে লাইসেন্স শাখায় বকুলের দুর্নীতির মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শাস্তি মূলক হিসেবে কারওয়ান বাজার অঞ্চল-০৫ হতে মিরপুর অঞ্চল-২ তে বকুলকে বদলী করে দিয়েছিলেন। কোন অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে বকুল আবার মিরপুর হতে কারওয়ান বাজার অফিসে বদলী হয়ে এসেছেন।

মিরপুর হতে কারওয়ান বাজার অফিসে পূনরায় বদলী হয়ে আসার পর তার দুর্নীতির মাত্রা বহুগুনে বেড়ে যায়। অনুসন্ধানে জানা যায় কারওয়ান বাজার অফিসে একটি ট্রেড লাইসেন্স করতে কাগজপত্র জমা দিতে ৩-৪ বার অফিসে গিয়েও তাকে সীটে পাওয়া যায় না। ৩-৪ বার ঘুরেফিরে দেখা পাওয়া গেলেও তার উগ্রো মেজাজ, দূরব্যবহার, ঘুষের পরিমান চাহিদা মোতাবেক মিটানো সম্ভব না হলে তার সাথে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায় না।

ঘুষ চাওয়া ও নেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে সহযোগীতা করছেন ঐ অঞ্চলের মার্কার কামরুজ্জামান আরোও সহযোগিতা করছেন বহিরাগত দালাল জুয়েল, সুমন, জামাল, নওশেদ ও আলামিন। কামরুজ্জামান ও  জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্র¿ী বর্তমানে কারওয়ান বাজার অফিসে লাইসেন্স শাখার ১নং কর্তাব্যক্তি। তাদের নির্দেশ ছাড়া লাইসেন্স শাখায় কোন কাজ হয় না। বকুল প্রতিদিন কারওয়ান বাজার ডিএনসিসির অফিস অঞ্চল-০৫ হতে কমপক্ষে ৮০,০০০-১,০০,০০০/- টাকা ঘুষ গ্রহন করে থাকে এবং তা দেখারও কেউ নেই বলারও কেউ নেই। তার ভয়ে কেউ কথা বরতে সাহস পায় না।

তিনি সব সময় মদ, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি সেবন করে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকেন, তিনি পূর্বে বিএনপির কর্মী ছিলেন। বর্তমানে তিনি হাইব্রিড শ্রমিক লীগের নেতা নামে পরিচিত। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বারবার বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রীডের জায়গা নেই। বিএনপি ও জামাত সমর্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের এজেন্ট হিসেবে বকুলকে ব্যবহার করে ডিএনসিসিতে মূল আওয়ামী লীগকে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছেন। মূল আওয়ামীলীগ ডিএনসিসিতে কোন মূল্যায়ন পাচ্ছে না। চাটুকাররা মেয়র মহোদয়কে মূল আওয়ামীলীগ সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে রেখেছে। তিনি অবৈধ ভাবেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন।

তার নামে বেনামে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাড়ী জমিজমা, ব্যাংক ব্যালেন্স, ব্যাংকে এবং পোষ্ট অফিসে রয়েছে নামে বেনামে লক্ষ লক্ষ টাকার সঞ্চয় পত্র ও এফডিআর। তার রয়েছে একটি এলিয়ন মডেল প্রাইভেট গাড়ী যাহার নং ঢাকা মেট্রো-গ-২৩১৯৬২। ৮৬, মানিক নগর (মিরাজের গলিতে) রয়েছে ০৮ তলা দালান। যাহার মূল্য প্রায় ৩,০০,০০০,০০/- (তিন কোটি) টাকা। নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জের কায়েত পাড়ায় তার নামে রয়েছে প্রাচীর ঘেরা বিশাল বাড়ী, রয়েছে দশ-বারো বিঘা জমি, গুলশান-০২ গুদারাঘাট পারে তার নামে রয়েছে প্রায় ২৫ শত বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট।

যাহার মূল্য প্রায় ২,৫০,০০,০০০/- (দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা, সম্প্রতি মিরপুরে রূপনগরে তার নামে ২৬ শত বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের নামে ও বেনামে রয়েছে সম্পত্তি, ব্যাংক ব্যালেন্স, সঞ্চয় পত্র ও এফডিআর। বকুলের  আয়ের সাথে  সম্পদ অর্জনের কোন মিল নেই। যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ অর্জন। বকুলের কারওয়ান বাজারের অন্য লাইসেন্স সুপার ভাইজার মাসুদ আনোয়ারকে কোন পাত্তাই দেন না। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সকল ওয়ার্ডের লাইসেন্স সহি স্বাক্ষর করেন।

বকুলের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুবার বহু পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকরা লেখালেখি করলেও ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ বকুলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তার শক্তির উৎস কোথায় ? মেয়র আতিকুল ইসলাম যেখানে শাস্তি মূলক বদলী করলেন কারওয়ান বাজার থেকে মিরপুরে অথচ ৩ মাসের মাথায় কিভাবে এবং কি কারণে মেয়রের বদলীর আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পূণরায় মিরপুর হতে কারওয়ান বাজার অফিসে বদলী হয়েছেন।

বিষয়টি মেয়র মহোদয় আদৌ জানেন না। বকুলের অবৈধ কার্যাকলাপ, অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে গত ০৯/০১/২০২০ইং তারিখে দুদক থেকে তার নামে নোটিশ আসছে এবং তদন্ত চলছে। বকুল বিভিন্ন কর্মচারী ও কর্মকর্তার নিটক বলে বেড়াচ্ছে যে মেয়র আমাকে মিরপুরে বদলী করেছিল।

আর আমার ক্ষমতা বলে আমি আবার মিরপুর হতে কারওয়ান বাজারে বদলী হয়ে এসেছি। মেয়র আজ আছে কাল নেই ইত্যাদি বলে বেড়াচ্ছে। তিনি প্রতিদিন দুপুর ১২ টার পরে কারওয়ান বাজার অফিসে আসেন আর তার দালাল/টেন্ডুলদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা সহ সকল ফাইল পত্র  হিসাব নিকাশ করেন। দালালরা প্রতিদিন রাত ১০ টা পর্যন্ত লাইসেন্সের কাজ করেন।

কেহ চালান লেখে, কেহ রিসিট কাটে, কেহ বহি লেখে, অথচ এ সব কিছু বকুলের করার কথা। তা না করে বহিরাগত ভাবে আদেশ দেওয়া রয়েছে কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। তিনি আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রীড সামান্য তদন্ত করলেই তার সম্পর্কে সব বেড়িয়ে আসবে। বকুল দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।

ডিএনসিসির ও সরকারের দূর্নাম ছড়াচ্ছে এবং আওয়ামীলীগের দূর্নাম ছড়াচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জরুরী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ মনে করেন গ্রাহকরা। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হয়েছে।  উক্ত বিষয়ে মোবাইলে বকুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি তথ্য জানতে চাইলে শাহিন দেওয়ান করকমর্তা তিনি বলেন এসব কিছু আমি জানিনা। বকুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি   অজানা তথ্য অনুসন্ধান চলছে।