Site icon Aparadh Bichitra

থানা আওয়ামীলিগের সভাপতি বক্কর মিয়ার ভাতিজা ঠান্ডার অত্যাচারে অতিষ্ঠ,পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: পলাশবাড়ী থানা আওয়ামীলিগের সভাপতি বক্কর মিয়ার ভাতিজা জেনারুল ইসলাম (ঠান্ডা) এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কিশোরগাড়ী (সুলতানপুর) গ্রামের ভুক্তভোগি মোনছেফা বেগম পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছে। পলাশবাড়ী থানা পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোণ ব্যবস্থা নেয়নি সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে। গত ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে মোনছেফা পলাশবাড়ী থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগটি দাখিল করে। ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৩.৩০ঘটিকার সময় হাতে লাঠি-সোডা, ছোরা ইত্যাদি লইয়া অতর্কিত ভাবে মোনছেফা স্বামীর বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ ও ভাংচুর করার চেষ্ঠা করে। মোনসেফা বেগুমের অেিভ্যাগটি নীচে তোলে ধরা হল: যথাবিহীত সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি মোছা: মোনছেফা বেগম স্বামী-মো: এনামুল হক সাং-কিশোরগাড়ী (সুলতানপুর) থানা-পলাশবাড়ী জেলা-গাইবান্ধা। আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ১। মো: শাফিউল ইসলাম ২। মো: আ: কাফি উভয় পিতা-মৃত টুনু মিয়া ৩। মো: জেনারুল ইসলাম (ঠান্ডা) পিতা-আ: রহমান ৪। মো: এন্তাজ মিয়া পিতা মৃত-নয়া মিয়া ৫। মো: তোফাজ্জল হোসেন  পিতা অজ্ঞাত ৬। মো: সুরুজ হক পিতা-মো: ছমছেল মিয়া ৭। মো: জুলহক মিয়া পিতা মো: আ: রহমান সর্ব সাং কিশোরগাড়ী, থানা-পলাশবাড়ী জেলা-গাইবান্ধা গণসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন। ১নং বিবাদীর ছেলে অপরিচিত একটি মেয়ের সহিত অবৈধ মেলামেশা অবস্থায় আটক হইলে উক্ত বিষয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষই বসিয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক ০১ নং বিবাদীর ছেলের সহিত উক্ত মেয়ের বিবাহ সম্পর্ন হয়।

উক্ত বিবাহ হওয়ার বিষয়ে আমার বাবা গোলাম মোস্তফা মিয়াকে দোষারোপ করিয়া এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া আমার বাবাই উক্ত বিবাহতে সম্মতি দিয়াছে মর্মে সন্দেহ পোষন করিয়া আমার বাবার সহিত শত্রুতার পোষন করিয়া গালি গালাজ সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদান করিতে থাকে।

আমার স্বামীর বাড়ী আমার বাবার বাড়ীর পাশাপাশি একই গ্রামে হওয়ায়  ২৬/০১/২০২১ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩.৩০ ঘটিকার সময় হাতে লাঠি, সোডা, ছোরা ইত্যাদি লইয়া অতর্কিত ভাবে আমার স্বামীর বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া আমার বাবা মো: গোলাম মোস্তফা মিয়াকে উদ্দেশ্য করিয়া গালিগালাজ শুরু করিলে আমার বাবা নিষেধ করায় বিবাদিগন ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে বাবাকে হত্যা করার জন্য আগাইয়া আসিলে আমার বাবা ভয়ে দৌড়ে আমার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে এবং বিবাদীগণ আমার বসত বাড়ী ভাংচুর করার চেষ্টা করিলে আমার স্বামীসহ স্বাক্ষী ১।

মো: এনতাজ মিয়া পিতা-মো: গোলজার রহমান ২। মোছা: পিয়ারী বেগম, স্বামী মো: এন্তাজ মিয়া ৩। মো: রাজা মন্ডল পিতা মৃত-হায়দার আলী সর্ব সাং কিশোরগাড়ী, থানা-পলাশবাড়ী জেলা-গাইবান্ধা গনসহ আরও অনেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে আমাকে সহ আমার স্বামী ও বৃদ্ধবাবাকে সুযোগমত পাইলে মারপিট করা সহ ছোরা দ্বারা মুরগির মত জবাই করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়।

বিষয়টি আমার স্বামী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ করিতে বিলম্ব হইল। অতএব মহোদয়ের সমীপে প্রার্থনা উল্লেখিত বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রদান করিতে আপনার একান্ত মর্জি হয়। ভোক্তভোগি মোনসেফা অনেকবার থানায় কল করলেও পলাশবাড়ি থানা পুলিশ কোণ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে পলাশবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জকে তার মোবাইলে কল করলে তিনি বলেন, “আমি কোর্টে স্বাক্ষী দিতে এসেছি, পরে কথা বলব।” এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার গাইবান্ধাকে মোবাইলে কল করলে তিনি বলেন, আপনি তো ঢাকা থেকে শুনে বলছেন, আর আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বলি, যাই হউক আমি ব্যাপারটি দেখছি।”