হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দালাল সিন্ডিকেট সক্রিয়

0
641

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: বিগত, ০৭/০১/২০২১ইং তারিখ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ দুর্নীতি ও প্রতারণা বিষয়ে সরজমিনে অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এ প্রতিবেদকের ঢাকা অফিস।  অনুসন্ধানের দায়িত্ব গ্রহন করে অনুসন্ধান কাজ শুরুর আগে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর ও ওসি সদর মডেল থানাকে অবহিত করা হয়।  সহকারী পরিচালক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হবিগঞ্জকে তদন্তর জন্য সহযোগিতা করার জন্য লিখিত আবেদন করা হয়।   বিগত ১০/০১/২০২১ইং তারিখে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ প্রতিবেদক অনুসন্ধান কাজ শুরু করেন। সংক্ষিপ্ত অনুসন্ধানে বিভিন্ন লোকদেরকে ঘুষ, দুর্নীতি, ও প্রতারনার সম্পর্কে  জিজ্ঞাসাকালে সহকারী পরিচালকের পি.এ. মজলিস মিয়া ও একাউন্টেন অফিসার রবীন দাস  অনুসন্ধান কাজে বাধা প্রধান করেন।  বাধা দেওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা  প্রতিবেদককে হুমকি প্রদান করেন। আমি বিভিন্ন লোকদেরকে বিভিন্ন কৈাশলে তাদের হাতে থাকা পাসপোর্ট ফরম জমাদান কালে দেখার জন্য অনুরোধ করিয়া পাসপোর্ট জমাদানকারীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ফরম সংগ্রহ করি .উক্ত সংগ্রহীত বিভিন্ন পাসপোর্ট ফরমে সত্যায়িতের তারিখ ১০/০১/২০২১ইং ডাক্তার এস. কে. ঘোষ কনসালটেন্ট. হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, হবিগঞ্জ উনার সত্যায়িত স্বাক্ষর, সীল, সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে অন্য আরো কয়েকজনের কাছ থেকে আরো কিছু পাসপোর্ট ফরম সংগ্রহ করি ঐ পাসপোর্ট ফরমে ডাক্তার সাদেক হোসেন, এম.বি.বি.এস. বি.সি.এস  হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল উনারাও সত্যায়িত সীল, স্বাক্ষরও সংগ্রহ করি। এবং ডাক্তার সফিক আহমেদ এম.বি.বি.এস.বি.সি.এস. হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল উনারও সত্যায়িত সীল স্বাক্ষরও সংগ্রহ করি।

এসব বিষয়ে পাসপোর্ট জমাদানকারীদের কে জিজ্ঞসা করলে তারা জানান, যে জনৈক সেলিম মিয়ার  মিয়ার নিকট হইতে তারা ফরম ফিলাপ করেন এবং তাদেরকে সে নিজেই সীল, স্বাক্ষর মেরে তাদের কাছে হস্তান্তর করেন এবং বিগত ১২/০১/২০২১ইং তারিখে আমি পুনরায় হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অনুসন্ধান কাজে গেলে পাসপোর্ট জমাদানকারীদের মধ্যে কিছু

ফরমে জমাদানকারীদের মধ্য থেকে আরো কিছু পাসপোর্ট ফরমে, সত্যাসংগ্রহ করি করি। যাহাতে উল্লেখ্য আছে মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বি.সি.এস. জেনারেল এডুকেশন লেকচারার, ইসলামিক ইতিহাস, এবং মহিলা সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ এবং অন্য, অন্য, পাসপোর্ট ফরমে উল্লেখিত ব্যক্তির সত্যায়িত সীল,

স্বাক্ষরসহ সংগ্রহ করি এবং জমাদানকারী ব্যক্তিদেরকে উক্ত সত্যায়িতের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন যে মো: জামাল মিয়া নামের একজন ব্যক্তি তাদের ফরম ফিলাপ করে সে নিজেই সত্যায়িত সীল, সাক্ষ্যর দিয়েছেন। উক্ত বিষয়ে মো: জামাল মিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং আমাকে বলেন যে, পাসপোর্ট অফিসের বিষয়ে কোনো রকম অনুসন্ধান করলে আমাকে খুন করিয়া ফেলিবেন বলে হুমকি প্রদর্শন করেন।

পরবর্তীতে আমি উক্ত দালাল সিন্ডিকেটের প্রধান মো: জামাল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে বিগত ১২/০১/২০২১ইং তারিখে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি জি.ডি. এন্ট্রি দায়ের করি। বর্তমানে উক্ত জি.ডি. এন্ট্রিটি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন তদন্তের জন্য রয়েছে। উপরোক্ত মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইডি নং-১৭১৩৫১১০৬০০১,বি.সি.এস. জেনারেল এডুকেশন লেকচারার, ইসলামিক ইতিহাস, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, উনার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মো: নজমুল হক (অধ্যাপক),

ভারপ্রাপ্ত, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ বরাবরে একখানা চিঠির মাধ্যমে অবগত করলে তিনি জানান যে, সত্যায়নকারী উল্লেখিত ১০/০১/২০২১ইং এবং ১২/০১/২০২১ ইং তারিখে কর্মস্থলে ছিলেন না বলে সীল স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমাকে গত, ১২/০১/২০২১ ইং তারিখে অবগত করেন এবং উপযুক্ত ডাক্তারদের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল বরাবরে একখানা লিখিত চিঠির মাধ্যমে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের ডাক্তার শামীমা আক্তার এম.বি.বি.এস. বি.সি.এস. স্বাস্থ্য.

কোড নং ১০৯৯৪৮ আবাসিক মেডিকেল অফিসার ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল হবিগঞ্জ তিনি লিখিত মাধ্যমে জানান যে বর্ণিত ডাক্তারগণ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল হবিগঞ্জ এ কর্মরত নাই, যাহা সীল, স্বাক্ষর, দিয়ে আমাকে নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে আমি বরাবর প্রফেসর দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী, (অধ্যাপক) (ভারপ্রাপ্ত) বৃন্দাবন সনরকারী কলেজ হবিগঞ্জ বরাবরে, বিগত ১৫/০১/২০২১ ইং তারিখে একখানা চিটির মাধ্যমে অবগত করি যে,

মনিরুল ইসলাম (প্রভাষক), বৃন্দাবন সরকারী কলেজ হবিগঞ্জ। গত ১০/০১/২০২১ইং তারিখে উক্ত কলেজে তিনি কর্মস্থলে আছেন কি না, তিনি আমাকে ১৭/০১/২০২০ইং তারিখে আমাকে লিখিতর মাধ্যমে অবগত করেন যে, বর্নিত মনিরুল ইসলাম (প্রভাষক) নামে কোনো কর্মকর্তা বৃন্দাবন সরকারী কলেজ হবিগঞ্জে কর্মরত নেই. উপরোক্ত বিষয় গুলির সম্পর্কে সহকারী পরিচালক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হবিগঞ্জ গত ১৮/০১/২০২১ইং তারিখে বেলা অনুমান

১:৩০ ঘঠিকার সময় উনাকে উনার অফিসে না পেয়ে উনার  মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি, আমাকে বলেন যে, উপরোক্ত বিষয়গুলোর সম্পর্কে উনি কিছুই যানেন না। এবং আমাকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা উনার সম্ভব নয়। আমার প্রাথমিক অনুসন্ধানে, বোঝা যাচ্ছে যে, হবিগঞ্জ  পাসপোর্ট অফিসে জালিয়াতি ও প্রতারণা হচ্ছে।  উপরোক্ত বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান আছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 2 =