মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জীবন বাঁচাতে হাজী নূর হোসেনের আকুল আবেদন শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

0
1355

সাপ্তাহিক ‘‘অপরাধ বিচিত্রা”য় গত ২৩ জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জীবন বাচাঁতে হাজী নূর হোসেনের আকুল আবেদন শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদে উল্লেখ করেছেন সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পনা প্রসূত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সাংবাদিকতার  নীতিমালা অনুযায়ী আমার কোন বক্তব্য না নিয়ে মহল বিশেষ দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সম্পূর্ণ একপেশে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি নাকি সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যূ যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে নূর হোসেন গংরা সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যূ। আমি বি.এন.পির রাজনীতি করায় আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে যার প্রতিটিতেই আমি জামিনে  রয়েছি। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে হেলাল ও জামাল সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের জমি দখল করার জন্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে  তুলেছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃত ঘটনা হল হেলাল ও জামাল আমার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। তারা কোন ভূমি দস্যু বা সন্ত্রাসী নয় বরং নূর হোসেন গংরা বহুরূপী, যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার সাথে যোগ দিয়ে এলাকায় অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায় (১) মো: হাবীবুল্লাহ (৫৫) ২) মো: নূর হোসেন  (৪৫) ৩) মো: মনির হোসেন (৪৩) ৪) আবুল হোসেন ৫) আমজাদ হোসেন ৬) জাহিদ হোসেন।

এই আবুল হোসেন বি.এন.পির শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি রেহান আলীর ছেলে, আমজাদ হোসেন ও জাহিদ হোসেন নাতি এবং নূর হোসেন গংরা পৌত্র। আবুল হোসেন এর নামে বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

তারা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জোর পূর্বক মানুষের শেষ সম্বল দখল করে ভিটা মাটি ছাড়া করে। গত বি.এন.পি সরকারের আমলে তারা ক্ষমতায় ভাগ বসিয়ে নানা উপায়ে অর্থ উপার্জন করে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে পরে রূপ বদল করে অবৈধ পন্থায় টু-পাইস উপার্জন কামিয়ে নিচ্ছে। নূর হোসেন কখনও ঝাউচরের কোন মসজিদে জায়গা দান করা তো দূরের কথা একটি ইটও দান করেনি।

ঝাউচরের বড় মসজিদ আমার দাদা মৃত আব্দুল ওহাব গংরা নির্মাণ করেন। যার উপযুক্ত দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে আছে। গত ৭/০১/২০২১ ইং তারিখে আমরা নূর হোসেনের উপর কোন হামলা চালাইনি বরং সেদিন নূর হোসেন গংরা আমাদের উপর হামলা চালায়, হামলায় আমার মা জুলেখা বেগম(৬০) ডান পায়ে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আমার মায়ের ডান পায়ের রক্তাক্ত আঘাত প্রাপ্ত স্থানে চারটি সেলাই হয়। বিষয়টি নিয়ে হাজারীবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। প্রকাশিত প্রতিবেদনের এক অংশে বলা হয়েছে আমরা নাকি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পিলার ছাড়া ইটের গাথুনী দিয়ে ৪তলা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া করে ভাড়া দিয়েছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।              

  আমরা ৩ তলা একটি রেডিমেট বাড়ী ক্রয় করে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করেছি যার ভিত্তি ৫ তলা পর্যন্ত ,এটি কোন ঝুকিপূর্ণ ভবন নয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে আমি নাকি টাকার জোরে জামিন নিয়েছি যা সর্ম্পূণ মিথ্যা। মাননীয় বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি অন্তে সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে জামিন দিয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে আরেকটি মিথ্যা বলা হয়েছে; আমি নাকি আমার পিতাকে মারধর করেছি যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মারধর তো দূরের কথা আমি  কখনও আমার বাবার সাথে খারাপ আচরণও করিনি। নূর হোসেন তার পিতা বাচ্চু মিয়াকে দা-বটি সহ সনাতনী অস্ত্র নিয়ে অনেকবার ধাওয়া করেছে যা এলাকাবাসি সকলেই অবগত।

নূর হোসেন গংদের সাথে বিরোধের মূল কারণ আমার পিতার খরিদা জমি নিয়ে, যা ১৯৭৮ সালে বাচ্চু মিয়া ও সাবেদ আলীর ওয়ারিশগণের মধ্যে একটি বাটোয়ারা দলিল হয়। সেই বাটোয়ারা দলিলে বাচ্চু মিয়া ১০২ নং দাগে জমি পায় ২৪ শতাংশ এবং ৭১ নং দাগে পায় ১৪ শতাংশ ।                

বাচ্চু মিয়া নিজে তার জীবদ্দশায় ২৪ শতাংশ জমি থেকে দুটি দলিলে বিক্রি করে ৯.৬০ শতাংশ। বিক্রির পরে তার থাকে ১৪.৪০ শতাংশ । কিন্তু বাচ্চু মিয়া প্রতরাণা ও ক্ষমতার জোরে সিটি জরিপে রেকর্ড করায় ১৯.২০ শতাংশ জমি যাহা  তার প্রাপ্য থেকে ৪.৮০ শতাংশ জমি বেশী রেকর্ড করায়।

আমার পিতা সাবেদ আলীর পুত্র আব্দুল ওহাবের ওয়ারীশ থেকে খরিদ করে ৭.০ শতাংশ এবং আব্দুল বারেক থেকে খরিদ করে ১.২৫ শতাংশ। ৭১ দাগে খরিদ করে ২.৫০ শতাংশ। ১০২ দাগে আমার পিতার মোট  খরিদা ৮.২৫ শতাংশ থেকে তিনি ৪.২৫ শতাংশ বিক্রি করেন।

ফলে আমার পিতার জমি থাকে ৪ শতাংশ। যা বাচ্চু মিয়া ক্ষমতা জোরে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রেকর্ড করিয়ে নেয়। এই বিষয়টি আমরা জানতে পারি আমার পিতার মৃত্যুর পরে। জানার পরে বিষয়টি আমরা আমাদের স্থানীয় ৫৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মো: নূরে আলম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানাই। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।

কিন্তু নূর হোসেন গংরা বিচারে মানে না এবং আমাকে ও আমার ভাইকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এবং হুমকি দেয়। এরপর থেকে নূর হোসেন গংরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচার শুরূ করে এবং এলাকায় বলে বেড়ায় জমি দাবি করলে জানে মেরে ফেলবে। ইতিপূর্বে আমি এ ব্যাপারে ঢাকার বিজ্ঞ প্রথম সিনিয়র জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা ( যার নম্বর ১২৫/২০) করি।      প্রতিবাদকারীঃ

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two + one =