Site icon Aparadh Bichitra

চৈতী গ্রুপের বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ, ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন

সুলতান মাহমুদঃ সোনারগাঁয়ে চৈতী গ্রুপের বিষাক্ত বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে সরকারি খাল-নদী, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের অভিযোগ কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে না সোনারগার স্থানীয় প্রশাসন।

২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরকারি খাল দখল করে চৈতী নীট কম্পোজিট নামে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান গোপন ড্রেন নির্মান করে খাল ও নদীর পানি দুষণ করছে।

গার্মেন্টের বিষাক্ত রাষায়নিক বর্জ্যে আশেপাশের পরিবেশও দুষিত হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসকের কাছে বোতলে করে দূষিত পানির নমুনাসহ স্মারক লিপি দিয়েছে এলাকাবাসী।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির ব্যানারে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, শিল্পকারাখানার বর্জ্য পরিশোধন করার আইন থাকলেও সোনারগাঁয়ের চৈতী কম্পোজিট তা না করে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত কালো পানি টিপরদী এলাকার খালে ফেলছে। খাল হয়ে এই পানি মারীখালী নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে গিয়ে মিশছে। এই দুই নদীসহ আশেপাশের এলাকার পানিও দূষিত করছে। ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। স্বাভাকি মাছসহ খামারের চাষের মাছও মরে ভেসে ওঠে বিভিন্ন সম্ময়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী হাজী শাকিল রানা, বাংলাদেশ পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফিরোজ, সহসভাপতি বোরহান উদ্দিন খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নূর এ আলম জান্নাত, সাংবাদিক শাহজালাল প্রমূখ।

বক্তরা বলেন, পানি পরিশোধনের পরিবর্তে গার্মেন্টের মালিক আবুল কালাম, জিএম মিজানুর রহমান, ডি জি এম বদরুল এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে জোরপুর্বক সরকারি খাল ও প্রবাসীর জমিও দখল করে নিয়েছে। মানববন্ধনে টিপরদী ও আশেপাশের অন্তত ৩০ টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত নারী পুরুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধন শেষে প্রতিকারের দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর কাছে টিপুরদী এলাকার খালের পানির নমুনা ও স্মারক লিপি দেয়া হয়।

এব্যাপারে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সোনারগাঁ নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পরিবেশ দুষনবন্ধে আবেদন করেছিলেন এবং বিগত ডিসি জসিম উদ্দিনকে অনুলিপি দিয়ে সরাসরি কথা বলেছিলেন কিন্তু অনৈতিক সুবিধা পেয়ে দুই সরকারি অফিসার কোণ ব্যবস্থা নেয়নি চৈতির বিরোদ্ধে। আশা করি নবাগত ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ দখলদারদের ও পরিবেশ নষ্ঠকারদের বিরোদ্ধে জরুরীভাবে ব্যবস্থা নিবেন।

এব্যপারে ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহকে কল করলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, “চৈতীর পরিবেশ দুষনের ব্যাপাটি দেখব।”

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামকে কল করলে তিনি বলেন, ” আমি পরিবেশ আইন অনুসারে তাদের শাস্তি দিতে পারিনা, এটা পরিবেশ অদিদপ্তরের কাজ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মেজিষ্ট্রেট তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।”

পরিবেশ ডিডিকে কল করলে তিনি ধরেন নি।