একুশে পদক পেলেন ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্ট চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কামরুজ্জামান

0
502

নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালের একুশে পদক পেয়েছেন ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্ট ও কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি, এবং এশিয়া পেসিফিক এলায়েন্স ফর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: কাজী কামরুজ্জামান । ডা: জামান স্বল্প আয়ের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ১৯৮৮ সালে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল প্রষ্ঠিতা করেন, যা বর্তমানে ৫০০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া তিনি ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিট, ঢাকা কমিউনিটি নার্সিং ডিগ্রী কলেজ, ইন্সটিটিউট অব কমিউনিটি হেল্থ বাংলাদেশ, কমিউনিটি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব ট্রমালজি,অর্থোপেডিক এন্ড রিহেবিলিটেশন এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা কমিউনিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুলেছেন রুরাল হেল্থ সেন্টার যার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হেলথ কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়। তিনি পথশিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন স্কুল হেল্থ পোগ্রাম ও শ্রমিকদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেল্থ প্রোগ্রাম। পাবনায় প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রবীণ ব্যক্তিদের আনন্দে সময় কাটানোর জন্য প্রবীণ হিতৈষী কেন্দ্র। ১৯৭১ সালে বিলাতে তিনি অধ্যয়নরত ছিলেন। সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ২ নং সেক্টরে বাংলাদেশ হাসপাতাল স্থাপন করা হলে অর্থ, ঔষধ ও যন্ত্রপাতি প্রেরণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮০ সাল থেকে তিনি শিশু শৈল্য চিকিৎসক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি এসোসিয়েশন অব পেডিয়াট্রিক সার্জন , বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেডিয়াট্রিক সার্জারী এসোসিয়েশন ২০১৪ সাল থেকে

“প্রফেসর কামরুজ্জামান বেস্ট পেডিয়াট্রিক সার্জন এওয়ার্ড “ চালু করেছে। তিনি বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণ আবিষ্কার ও গবেষণার পথপ্রদর্শক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশে বিদেশে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন।

তিনি ১৯৪৩ সালের ২০ জুন রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কাজী নঈমউদ্দিন এবং মাতার নাম হামিদা বানু। পিতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন।

প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমি থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬১ সালে সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ থেকে, পাবনা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।

১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ১৯৬৮ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে যুক্তরাজ্যে গমন করেন। সেখানে রয়েল কলেজ অব অব সার্জন, এডিনবার্গ থেকে এফআরসিএস ডিগ্রী অর্জন করেন।

১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফ আই সি এস ডিগ্রী লাভ করেন। কিন্তু সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য বিদেশের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প ব্যয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য আজীবন সচেষ্ট থেকেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − 15 =