Site icon Aparadh Bichitra

চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ থানার টিআই মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক বানিজ্যের অভিযোগ

মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানঃ
চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ থানার টিআই মোঃ মিজানুর রমানের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে মাদকের গডফাদারকে ছেড়ে দিয়ে সাধারন মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ২০ডিসেম্বর-২০২০ তারিখে চট্টগ্রামের কর্নফুলী নদীর ১৫নং ঘাট সংলগ্ন মেরিন একাডেমির পাশ^বর্তী নদীতে নোঙ্গরকৃত ডিবিএমএ এন্টারপ্রাইজ জাহাজ, যাহার রেজি: নং-ডি২৪৮৮৬৭ নামক বার্জের মাষ্টার কেবিন অন্তত ২২ লাখ টাকা বিদেশী মদ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই আলী আকবর সহ তাদের সঙ্গীয় ফোর্স।

অতপর বিষয়টি থানার টিআই মিজানুর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদকে মুলহোতাকে ছেড়ে দিয়ে জাহাজের লেবারদের আসামী করে কর্নফুলী থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। টিআই মিজানের নির্দেশে এসআই আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে এবং জব্দকৃত মাদক পরিমান কম দেখিয়ে কর্নফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৮,তারিখ-২১ ডিসেম্বর-২০২০।


পরবর্তীতে মামলার আসামী পক্ষ টিআই মিজানুর রহমান সহ এসআই আবুল কালাম ও অন্যান্যদের এহেন অপকর্মের বিরুদ্ধে পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ে করিলে নৌ পুলিশ চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন এসআই আবুল কালাম আজাদ একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও মাদক উদ্ধারের ঘটনাস্থল ও ডিবিএমএ এন্টারপ্রাইজ, যার রেজি নং-ডি২৪৮৮৬৭ জাহাজটিকে জব্দ তালিকায় অর্ন্তভুক্ত না করিয়া দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি করেন। সেই সাথে পুনরায় প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে দোষীদের গ্রেপ্তার সহ মামলা করার নির্দেশ দেন।


তাছাড়া টিআই মিজানুর রহমান কিভাবে সদরঘাট নৌ থানার ওসির দায়িত্ব পালন করেন তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। শোনা যাচ্ছে তাকে এভাবেই দায়িত্বে রেখে ফায়দা লুটে নিচ্ছে কোন একপক্ষ।