রাজধানীতে মন্দিরের জমিতে আ’লীগ নেতার ঘর বানিজ্য

0
861

মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানঃ
রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ নওশের আলীর বিরুদ্ধে মতিঝিলের এজিবি কলোনীর সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্রী শ্রী হরিনাথ মন্দিরের জমি জোড়পূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলকৃত জমিতে ৩০টির অধিক সেমিপাকা ঘর নির্মান করে প্রতি ঘর ২ লাখ টাকা করে বিক্রির মাধ্যমে মোটা অংকের হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি একটি সংখ্যালঘু পরিবারকে জোড়পুর্বক তাড়িয়েও দিয়েছেন এই নেতা।


এলাকাবাসী জানায়, গণপূর্তের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর হিন্দু সম্প্রদায়ের কর্মচারীদের জন্য ১৯৯৩ সালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এজিবি কলোনীতে তাদের বাসস্থান সহ উপাসনালয়ের জন্য জমি বরাদ্দ দেন। তৎসময় হতে এই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনেরা সেখানে বসবাস সহ শ্রী শ্রী হরিণাথ মন্দির নির্মান করে পূজা অর্চনা করে আসছে। কিন্তু ২০১৮ সালে অবৈধ পন্থায় তাদের মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজসে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নওশের আলী মন্দিরের উক্ত জমি দখল করে সেখানে হরিনাথ ক্লাব নামে একটি অবৈধ ক্লাব স্থাপন করেন। এই ক্লাবের সভাপতি হন নওশের আলী নিজেই। নওশের আলী উক্ত ক্লাবে মাদক ব্যবসা সহ অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্দিরটি এজিবি কলোনীর হাসপাতাল জোনের মসজিদ মার্কেট সংলগ্নে অবস্থিত। নওশের আলীর নেতৃত্বে এডভোকেট বদন বাবু, ড্রাইবার সুভাষ দাস, মাসুদ কন্ট্রাকটর, পরিমল ও আকাস আলী গংরা পেশী শক্তির মাধ্যমে সংখ্যালঘু পরিবারের ঘর-বাড়ী উচ্ছেদ করে এবং সেখানে ৩০টির অধিক নতুন সেমিপাকা ঘর নিমার্ণ করে প্রতিটি ঘর ২ লাখ টাকায় বিক্রির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রানেরভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারছেনা। রাতের অন্ধকারে এসব ঘরের অবৈধ বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ দিয়ে বিল বাবদ হাজার হাজার টাকা মাসোয়ারা নেন তারা। সংখ্যালঘু পরিবারের অনেকেই তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।


ভুক্তভোগি একজন কর্মচারী বলেন, মন্দিরের জমি দখল নিয়ে আমার ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে নওশেরের লোকজন। আমার ছেলেকে মাদকের মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছে। পবিত্র মন্দিরের জায়গায় বসে রামদাসের ভাই লিংকন দাস মাদক সেবন করে এবং মাদক ব্যবসা করে। এ কারনে লিংকনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তী নওশের আলী তাকে তাকে ছাড়িয়ে আনে। নওশের আলী এহেন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিয়োগ দায়ের করা হয়েছে।

এব্যাপারে নওশের আলী বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। আমি এসবের সাথে যুক্ত নই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × three =