ইয়াবা ধরে বিক্রি করা সেই এএসআই কারাগারে

0
514

ইয়াবা ধরে বিক্রি করা চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের এএসআই (সাময়িক বরখাস্ত) মোহাম্মদ মোস্তফাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে নগরীর ওয়াসা মোড়ের হক লাইব্রেরি সামনে থেকে দুই হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন রাঙ্গুনিয়া থানার কনস্টেবল মোশররফ হোসেন। ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোশাররফ স্বীকার করেন, তিনি এএসআই মোস্তফাসহ ইয়াবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তারা দুজনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলায় একসঙ্গে চাকরি করেছেন। দুজনের মধ্যে বেশ খাতির রয়েছে। পরদিন নগরীর চকবাজার থানায় এ ব্যাপারে একটি মামলা করে র্যাব।

মামলা তদন্ত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের পরিদর্শক মঈনুর রহমান কনস্টেবল মোশাররফ ও এএসআই মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। কয়েক মাস পলাতক থাকার পর উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে কর্মস্থল নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনে হাজির হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তিনি দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত হন। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত মোস্তফাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নগর গোয়েন্দা বিভাগের বন্দর জোনের উপ-কমিশনার মনজুর মোর্শেদ জানান, ইয়াবা পাচারে অভিযুক্ত থাকার অপরাধে মোস্তফার বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মোশাররফ হোসেন ও মোহাম্মদ মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে গত ১২ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাঈনুর রহমান।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে মোশাররফ হোসেন জানান, তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। নগরের কসমোপলিটন আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকেন তিনি। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক আড়াইটায় এএসআই মোস্তফা ফোন দিয়ে তাকে দামপাড়া সিআইডি অফিসের গেটের সামনে আসতে বলেন। বিকেল চারটায় সেখানে গেলে মোস্তফাসহ গেটের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেন। কিছুক্ষণ পর বেলাল নামে একজন লোক এসে মোস্তফার সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে মোস্তফা বেলালের হাতে একটি লাল রঙের ব্যাগ দিয়ে মোশাররফকে বলেন, ‘তুমি ওর (বেলালের) সাথে যাও। কিছু টাকা দেবে তা নিয়ে এসো’। মোস্তফার কথা মতো বেলালের সাথে লালখানবাজার হাইলেভেল রোডে গেলে ইয়াবা নিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়েন মোশাররফ।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ইয়াবাগুলো বিক্রির জন্য দেন এএসআই মোস্তফা। মোশাররফ ও মোস্তফা নগর পুলিশে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলায় চাকরি করেছেন। দুজনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইয়াবাসহ ধরা পড়ার আগে দুজনের মধ্যে একাধিকবার কথা হয়। তারা জেনেশুনেই ইয়াবা বিক্রির জন্য নিজেদের কাছে রাখেন মোশাররফ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 1 =