এটিএমেরএকটি আফসোসে পুড়ছেন সন্তানরা!

0
586

৫ সন্তানের বিশাল পরিবারের সবচেয়ে প্রা’ণবিন্দুতে ছিলেন বরেণ্য অ’ভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। সঙ্গে ছিল নাতি-নাতনিরাও। আর এলাকার মানুষদের কাছেও তিনি ছিলেন চোখেরমণি।

তাই সকাল সাড়ে ৯টায় সূত্রাপুর ম’সজিদে যখন মাইকে ঘোষণা করা হলো, প্রিয় অ’ভিনেতা আর নেই- চারদিকটা হয়ে গেল থমথমে। হাসিমুখে যে মানুষটা সেলফি, কৌতুকসহ নানা কিছুর আবদার পূরণ করে যেতেন, সেই মানুষটাই নেই!পরিবারের সদস্যরাও শেষ দিকে এটিএমের সব ইচ্ছেগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করতেন। তবে একটি আক্ষেপের কথা জানালেন তার মে’য়ে কোয়েল আহমেদ।

বললেন, ‘‘উনি একটি ছবি বানাবেন- এটা আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছাতে পারিনি। বাবার একটাই কথা ছিল, আমা’র বিষয়ে কারও কাছে কিছু বলবা না। চাইবা না। আমা’রে ছোট করব না। প্রধানমন্ত্রী যখন ১০ লাখ টাকা আমা’র বাবাকে দিলেন, অনেকেই বললেন, ‘মাত্র এই ক’টাকা দিয়েছেন উনাকে’। বাবা পাল্টা জবাব দিয়েছেন, ‘এটা কি আমা’র বাবার টাকা? নাকি আমি রোজগার করে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দিতাম। তিনি টাকা দিয়েছেন, এটাই সম্মান। এটাই আমা’র জন্য অনেক বেশি’। আমা’র বাবা সর্বশেষ উনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।’’

জানালেন, সন্তান হিসেবে একটি আফসোস তাদের পুড়িয়ে যাচ্ছে। কোয়েলের ভাষ্য, ‘বাবার সব ইচ্ছে আম’রা সাধ্যমতো পূরণ করার চেষ্টা করেছি। শুধু একটি ইচ্ছে আপনারা (সাংবাদিক) প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেননি। বাবার খুব ইচ্ছে ছিল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানাবেন। কিন্তু সেটা তিনি করতে পারলেন না। বাবার জীবনে এই একটাই আফসোস থেকে গেল। প্রধানমন্ত্রী জানতে পারলেন না- তার ইচ্ছের কথা। এখন বাবা নেই, আর কোনও ইচ্ছে নেই।’

উল্লেখ্য, গত (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে এটিএম শামসুজ্জামান সমাহিত করা হয়েছে। ইচ্ছে অনুযায়ী রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে বড় ছে’লের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় এই বরেণ্য অ’ভিনেতাকে।এর আগে বাদ জোহর নারিন্দায় পীর সাহেব বাড়ি জামে ম’সজিদে তার প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর সূত্রাপুর জামে ম’সজিদে দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেয় তার সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =