Site icon Aparadh Bichitra

পুলিশের তল্লাশি: যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখবেন

পথের মাঝে ও অলিগলিতে পুলিশের তল্লাশি কার্যক্রম দেখা যায়। সন্দেহ হলে পুলিশ যে কোন বক্তিকে তল্লাশি করতে পারে। এ ধরনের তল্লাশির ক্ষেত্রে পথচারিকে বিভ্রান্ত বা আতংকগ্রস্ত হওযার কোন কারণ নেই। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় তল্লাশির নামে পুলিশ পথচারিকে হয়রানি করে থাকে। রিকশা বা অটো থামিয়েও পকেটে হাত ঢুকায় পুলিশ। পকেট থেকে মানি ব্যাগ বের করে কি যেন বের করতে চায় পুলিশ। পকেটে হাত ঢুকানো বা মানি ব্যাগ বের করে কুটি কুটি করে খোঁজা কতটুকু আইনসন্মত তা বিবেচনায় রাখা দরকার। অবশেষে কোন কিছু না পেয়ে শুরু হয় একের পর এক প্রশ্ন। কোথায় যাবেন, কোথা থেকে আসলেন, কি করেন ইত্যাদি। এসব প্রশ্নবানে জর্জরিত করার পেছনে পুলিশের একটি উদ্দেশ্য আছে। তা হচ্ছে পথচারিকে নার্ভাস করে কিছু ফাঁয়দা লুটা। অল্প শিক্ষিত বা আইন সম্পর্কে ধারণা কম এধরনের লোক পুলিশের এধরনের আচরনে ভয় পায় ও নার্ভাস হয়ে যায় বলে পুলিশ অন্যায় সুযোগটি পায়। প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য লোক পুলিশের তল্লাশির শিকার।

তবে আইন সম্পর্কে ধারণা থাকলে পুলিশের অন্যায় আচরন থেকে রক্ষা পাওযা যাবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১০৩ ধারায় বলা হয়েছে তল্লাশি পরিচালনা করার সময় পুলিশকে অবশ্যই সেই এলাকার বা স্থানের দুই বা ততোধিক সন্মানিত বসবাসকারী ব্যক্তিকে তল্লাশির সময় হাজির থাকতে এবং ঘটনার সাক্ষি হতে আহবান করবেন।

আবার তল্লাশির সময় স্থানীয় এলাকার সন্মানিত সাক্ষি না পাওয়া গেলে ভিন্ন স্থান থেকে সাক্ষি নেয়া যেতে পারে।

তল্লাশির সময় জব্দকৃত মালামাল সাক্ষিকে দেখাতে হবে এবং এর একটি তালিকা তৈরি করে সাক্ষিদের স্বাক্ষর নেবেন। তালিকার একটি কপি সাক্ষিকে দিতে হবে।

পথচারিকে তল্লাশির নামে পুলিশ ইচ্ছামত যা খুশি তা করতে পারে না। প্রায়ই দেখা যায় পথচারির গতি রোধ করে পুলিশ ভয় ভীতি সৃষ্টি করে। তারপর সাথে থাকা ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করছে। পুলিশ দেখতে চায় ব্যাগে কী আছে।

ব্যাগ হাতানোর পর পকেটে হাত ঢুকিয়ে মানি ব্যাগ বের করে টাকাগুলো পর্যন্ত গুনতে থাকে। সে সময় পুলিশ যদি টাকাগুলো জোরপূর্বক নিয়েও যায় তবুও অসহায় পথচারির কিছু করার নাই।

কারন প্রতিবাদ করতে গেলে অনেক মাশুল গুনতে হবে। কথায় বলে সমযের এক প্রহর অসময়ের দশ প্রহর। আইন জেনে পুলিশের তল্লাশির সন্মুখীন হলে হয়তো সমস্যার সামান্যতম হলেও সমাধান হতে পারে।