Site icon Aparadh Bichitra

মেধাবী প্রজ্ঞাময় দক্ষ দেশপ্রেমিক আমলা ড. মোজাম্মেল হক খান দায়িত্বে আন্তরিক, কর্তব্যে প্রতিশ্রæতিশীল

মোশারেফ হোসেন : দক্ষতার ছোঁয়া সবখানেই। মেধার স্বাক্ষর স্পষ্ট। রাষ্ট্রের প্রতি শতভাগ আনুগত্য। প্রতিটা কাজেই প্রজ্ঞার ছাপ। দায়িত্বে আন্তরিক। কর্তব্যে নিরলসতা। এগুলো একজন সরকারী কর্মকর্তার জন্য অবশ্যই অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এই অত্যবশ্যকীয় বিষয়াদি খুঁজে পাওয়া যায় ড. মোজাম্মেল হক খানের মধ্যে। এই মেধাসম্পন্ন প্রচারবিমূখ গুণী মানুষটি বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নিরলস কর্মতৎপরতা তাকে দুদক-এ সর্বজন গ্রহণীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে। দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সরকারী এই সংস্থাটিকে উচ্চমার্গে উপনীত করেছেন। সংস্থাটিকে আজ রাষ্ট্র ও জনগণের আস্থা ও নির্ভরশীলতার প্রতীকে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান একজন মেধাসম্পন্ন প্রজ্ঞাময় দক্ষ ও দেশপ্রেমিক আমলা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন অনেক আগেই। তিনি দায়িত্বে আন্তরিক, কর্তব্য-কাজে প্রতিশ্রæতিশীলতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন কর্মজীবনে প্রবেশ থেকেই। তার পেশাগত দক্ষতা, মেধা ও প্রজ্ঞার প্রতি সরকার আস্থাশীল বলেই মনে হয়। ফলে তাঁকে সরকারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিগত দিনে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, প্রজ্ঞাময় এই সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ইতোপূর্বে সিনিয়র সচিব হিসেবে জ্বালানী মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে দুদক-এর কমিশনারের দায়িত্ব পালনের পাশাপশি বাংলাদেশ স্কাউটস্-এর প্রধান (জাতীয় কমিশনার) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সাউথ এশিয়ান এ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল স্কাউট অর্গানাইজেশন (সানসো)-এর চেয়ারম্যান। জাইকা এলামনাই এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন ড. মোজাম্মেল হক খান।

পূর্বেও তিনি এই অর্গানাইজেশনের সার্কভুক্ত দেশের ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে উক্ত ফোরামের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ আমলা হলেও তিনি  বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

সৎ, নির্মোহ, নির্লোভ, ন্যায়-নীতিবান ও আদর্শের অন্যতম প্রতীক নিখাদ দেশপ্রেমিক ড. মোজাম্মেল হক খান। পরিচ্ছন্ন চরিত্রের অধিকারী তিনি। দুর্নীতি, অন্যায়, অর্থলিপ্সতা তাকে কখনোই কাতর করতে পারেনি। অনন্য মেধার অধিকারী ড. মোজাম্মেল হক খান তাঁর বর্ণাঢ্য পেশাদারী জীবনে সরকারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

তিনি উপজেলা মাঠপর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক প্রভৃতি পদে দায়িত্ব পালনে প্রভ‚ত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। তিনি ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক ছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব, উপ-সচিব,  যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে সচিব পদে পদোন্নতি পান।

তাঁকে উপযুক্ততা ও কর্মদক্ষতা বিবেচনায় তাঁকে সরকার  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করেন। পরবর্তিতে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইএমইডি (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়), জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানী বিভাগের সচিব ছিলেন। ২০১৪ সালে তার দক্ষতার কারণে তাঁকে সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।

সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অতিদক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এই প্রজ্ঞাময় আমলা ড. মোজাম্মেল হক খান বিভাগীয় কমিশনার, প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব পদে দায়িত্ব পালনে তিনি যথেষ্ট সফলতা দেখাতে সক্ষম হন।

অতি বিনয়ী ও সদালাপী এই মানুষটি তাঁর পেশাগত জীবনে ঊর্ধতনদের গুরুজনের মতো শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছেন, তেমনিভাবে অধ:স্তনদের স্নেহে সিক্ত করেছেন। ফলে তাঁর প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রে তিনি সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন সাদামানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।

সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। পেশাগত জীবণে তিনি অন্যায়কে কখনোই প্রশ্রয় দেননি। নিজের কর্তব্যবোধ থেকে রাষ্ট্রের স্বার্থে তার প্রতি অর্পিত সকল দায়িত্ব অতি সুচারুভাবে পালন করে চলেছেন। ক্লান্তি তাকে কখনোই দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা  সৃষ্টি করতে পারেনি।

ড. মোজাম্মেল হক খান মাদারীপুর জেলার (পুর্বতন ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমা) পাঁচখোলা নামক গ্রামে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মিশরের কায়রো ডেমোগ্রাফিক সেন্টার থেকে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ে এসডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮২ সালে নিয়মিত ব্যাচে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে সরকারী চাকরিতে যোগ দেন।

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনেও ড. মোজাম্মেল হক খান অনেকটাই অগ্রগামী। নিজ এলাকায় শিক্ষার প্রসারকল্পে তিনি মাদারীপুরের পাঁচখোলায় প্রতিষ্ঠা করেন স্বীয় নামের ‘ড. মোজাম্মেল হক খান কলেজ’। মাদারীপুর সদর উপজেলায় এতিমখানা, প্রবীণ নিবাস, স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র, অবহেলিত কিশোর-কিশোরীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি তার পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া অধিকাংশ সম্পত্তি জনস্বার্থে দান করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার আলোতে গ্রামের বাড়ী পাঁচখোলায় একগুচ্ছ সামাজিক প্রতিষ্ঠান সত্যি আজ আলোকিত করেছে। শুধু পাঁচখোলা নয় এ প্রতিষ্ঠানগুলো সারা দেশের জনদরদী উন্নয়নকামী মানুষের জন্যও অনুসরণযোগ্য। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে তার বিগত দিনের এবং চলমান কর্মকান্ড অনুপ্রেরণা জোগাবে নতুন প্রজন্মকে, এটা সচেতন মহলের অভিমত।