ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর গং যখন ভ‚মিদস্যু তখন ডিমলা থানা পুলিশের ভ‚মিকা ???

0
1083

ডেস্ক রিপোর্ট: নীলফামারী-ডিমলার আঞ্চলিক প্রবাদ জোড় যার, মুল্লুক তার। লাঠি যার, মাটি তার। এ জাতীয় সনাতন প্রবাদের বাস্তবতাকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক আগেই কবর দিয়েছে বলে সবার জানা থাকলেও জানা নেই শুধু ডিমলা খালিশা চাপানির চেয়ারম্যান আতাউর সরকার ও তার ছোট ভাই নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য সেলিম সরকার লেবু, বাংলা সান সোলার এনার্জি লি:, প্যারাগন সহ স্থানীয় দালাল রবিউল ইসলাম শুকারু, দালাল হাসানুর রহমান, বাংলা সান সোলার এনার্জি লি: এর ম্যানেজার হুমায়ুন এবং প্যারাগনের ম্যানেজার রবিউলদের। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে জানা যায় ১৯৪৭ সালের পূর্বে নবাবী ও জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পূর্বে জলপাইকুঁড়ি জেলাধীন নবাব মোশারফ হোসেন খান বাহাদুর ছিলেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। ডিমলার বাইশ পুকুর মৌজা ও হাতিবান্ধা থানার মধ্যখানে মনুহারা চরের নয়শত একর জমির মধ্যে ছয়শত একর আজও তিস্তা নদী গর্ভে আর অবশিষ্ট তিনশত একর জমি নবাব সাহেব প্রজাকুলের মধ্যে মৌখিক ভাবে দান করে দেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৭০/৮০ বছর ধরে কৃষকদের শত শত পরিবার বংশ পরস্পরায় ঐ সমস্ত তিন ফসলি জমি নিজ দখলে রেখে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

যাহার ১৯৪০ সালের রেকর্ড অনুযায়ী খতিয়ান নং ২০, ৮০, ৯০৩। পরবর্তীতে উক্ত জমির ওয়ারিশ রহিমুন্নেছা ও ফয়জুন্নেছা মহোদ্বয়গণ জলপাইকুঁড়ি জেলার অন্তভর্‚ক্ত থাকা কালীন একই ভাবে প্রজাকুলকে দান করার কথা বলেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় নবাব মোশারফ হোসেন খান বাহাদুরের কৃষক-কামলা প্রজাকুল অশিক্ষিত হওয়ায় এবং জমিজমা বিষয়ে

যথেষ্ঠ জ্ঞান না থাকায় ডিমলার খালিশা চাপানির চেয়ারম্যান আতাউর সরকার ও তার ছোট ভাই নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য সেলিম সরকার লেবু, বাংলা সান সোলার এনার্জি লি:, প্যারাগন সহ স্থানীয় দালাল রবিউল ইসলাম শুকারু, দালাল হাসানুর রহমান, বাংলা সান সোলার এনার্জি লি: এর ম্যানেজার হুমায়ুন এবং প্যারাগনের ম্যানেজার রবিউল ভ‚মিদস্যু রুপে অবতীর্ণ হয়েছে।

উল্লেখিত ভ‚মিদস্যুরা ভ‚মি সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উৎকোচের বিনিময়ে হাত করিয়ে কিছু ভ‚য়া ওয়ারিশ বানিয়ে অনেক জমির ভ‚য়া দলিল, রেকর্ডসহ অনেক কাগজপত্রের প্রমানাদি তৈরি করে ফেলেছে। তাঁরা ভ‚মিদস্যুতার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় একধাপ এগিয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

কিন্তু ভারতবর্ষ ভাগাভাগির পর সাবেক জলপাইকুঁড়ি জেলার নবাব মোশারফ হোসেন খান বাহাদুর সাহেবের উত্তরসুরিদের যখন আর খুঁজেই পাওয়া যায়নি তখন আতাউর সরকার চেয়ারম্যান গং ভ‚য়া ওয়ারিশ তৈরি করে ডিমলা সাব-রেজিষ্টার অফিস ম্যানেজ করে কিছু দলিল ও রেকর্ড দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করে তৈরি করেছে এটাই সত্যি। এভাবে কিছু ভ‚য়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে তিনি চরের বেশ কিছু একর জমির মালিক বনে গেছেন এবং বাংলা সান সোলার এনার্জি লি: এর নামে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলিল করে দিচ্ছেন।

অথচ সেই নবাব-জমিদার আমল থেকে এখন পর্যন্ত নবাব মোশারফ হোসেন খান বাহাদুরের প্রজাকুলের ভোগদখলেই আছে অবশিষ্ট তিনশত একর জমি। শুধু মাত্র ভ‚য়া কাগুজে মালিকদের দাপট ও ভয়ভীতির প্রদর্শনী দেখে অবাক ডিমলাবাসী।

ইতিমধ্যে গত ২৬/০২/২০২১ ইং বিকাল তিনটা থেকে পরদিন বিকাল চারটা পর্যন্ত মো: ছাইদুল ইসলামকে ছাতুনামা থেকে ডিমলা থানা পুলিশ বিনা কারণে শুধুমাত্র কোম্পানির দালালদের কথামতো আটক রেখেছে। যা ডিমলার তিন ফসলি জমিতে অবৈধভাবে শিল্প কলকারখানা স্থাপনের নামে জমি অধিগ্রহনের মহরার অংশ। ডিমলাবাসীকে এটাই বুঝাতে চায় যে ভ‚মিদস্যুরা যা চাইবে ডিমলার থানা পুলিশও তাই করবে।

বাইশ পুকুরের চরবাসী অপরাধ বিচিত্রাকে আরো বলেন ভ‚ট্টা ফসল উঠানোর পর ভ‚মিদস্যুরা সমস্ত এলাকায় বালু ছিটিয়ে তিন ফসলি জমিগুলোকে অনাবাদী জমি বলে মিডিয়াতে প্রচার করবে এবং আমাদেরকে জোড় পূর্বক উচ্ছেদ করে আমাদের মাতৃভ‚মি বাহিরের কোম্পানির হাতে তুলে দিবে।

বাধা দিলে খুন, গুম এমনকি পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, তিনি এ অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ত নয়। অভিযোগেটি মিথ্যা। (চলবে)।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 1 =