হেযবুত তওহীদের সদস্য হত্যা : ৫ বছরেও হয়নি বিচার

0
804

আরিফুল ইসলাম : নোয়াখালীর সােনাইমুড়িতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যার ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের বিচার হয়নি ।

রবিবার(১৪ মার্চ) বিকেলে ঢাকা রিপাের্টার্স ইউনিটিতে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচারের দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগর সভাপতি ডাঃ মাহবুব আলম মাহফুজ এমন অভিযোগ করেন।

মাহবুব আলম অভিযােগ করে বলেন, “হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের বিচার হয়নি। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা বহু আসামী স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলাের আশ্রয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না । আর সেই সুযােগ নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী গােষ্ঠী ও কুচক্রী মহল পুনরায় হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে হামলার ষড়যন্ত্র করছে।

 ২০১৬ সনের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সােনাইমুড়িতে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে এবং হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন কৃষিভিত্তিক, শিল্পভিত্তিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়ন প্রকল্পগুলাের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে হেযবুত তওহীদ । এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাহবুব আলম মাহফুজ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৬ বছরে একটি ধর্মব্যবসায়ী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর ৪০০ বারেরও বেশি হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পৈশাচিক হামলাটি হয় ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ। সেদিন হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটির়ে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে। দিনভর চলে হামলা, জ্বালাও পােড়াও, রক্তপাত ও হত্যাকাও। হেযবুত তওহীদের দুজন সদস্যকে হত্যা করে পেট্রোল ঢেলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়িতে হামলার সাথে জড়িত সকল হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা, বর্তমানে যারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হ্যান্ডবিল বিতরণ করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা, হেযবুত তওহীদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলাের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ওয়াজ মাহফিলগুলােতে যারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার চালাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা, হামলার হুমকির মুখে থাকা হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বাড়িঘর, কৃষি প্রকল্প, কার্যালয় ও ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, মাদক, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে হেযবুত তওহীদের অনুষ্ঠানগুলাের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান করা এবং হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে যারা অনলাইনে হত্যার হুমকি, ছবি বিকৃতিসহ নানাবিধ সাইবার ক্রাইম করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবিসহ মোট ১১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক রিয়াদুল হাসান এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাকীব আল হাসানসহ আরও অনেক সদস্যবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 13 =