পুলিশ না নেয়ায় আদালতে যাচ্ছে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দুই মামলা

0
709

নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ও মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা দুটি এজাহার শনিবারও (১৩ মার্চ) রেকর্ডভুক্ত হয়নি।

ফলে শ্রমিক আলা উদ্দিন হত্যা এবং মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করা এজাহার দুটি দায়ের করতে রোববার (১৪ মার্চ) সকালে নোয়াখালীর আদালতে যাচ্ছেন ভুক্তভোগী দুই বাদী।

শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত আলা উদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের স্ত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন।

এরআগে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা ও আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় এজাহার দুটিতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু থানা পুলিশ সেই এজাহারগুলো মামলা হিসেবে গ্রহণ না করার অভিযোগ করেছেন দুই বাদী।

নিহত শ্রমিকলীগ কর্মী আলাউদ্দিনের ছোট ভাই মো. এমদাদ হোসেন জানান, ১১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামিসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার এজাহার দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রধান আসামি মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ না দেয়ায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ এজাহারটি রেকর্ড করেনি। তাই রোববার আদালত খোলার পর হত্যা মামলাটি সেখানে দায়ের করা হবে।

অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াতের ওপর হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী আরজুমান পারভীন শনিবার বিকেলে বলেন, ৯ থেকে ১২ মার্চ (শুক্রবার) রাত ৯টা পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড করাতে পারিনি।

মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত অসুস্থ থাকার কারণে এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরামর্শে রোববার মামলাটি আদালতে দাখিল করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান আরজুমান পারভীন।

তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার ওপর প্রকাশ্যে হামলা করে আহত করার ঘটনার পর পুলিশ মামলা না নেয়ায় বোঝা যাচ্ছে পুলিশ কোথা থেকে আদিষ্ট হয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার মামলা নিচ্ছেন না।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুর হক রনি জানান, আমি আইনশৃঙ্খলার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুটি এজাহারই সংশোধন করে আনবেন বলে তারা জানিয়েছিলেন। এরপর থানায় এলেও তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি একথা মোটেও সত্য নয়।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন অফিস উদ্বোধন করতে গেলে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধর করেন। অপরদিকে ৯ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে একজন নিহত হন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 4 =