স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করলো বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন

0
660

অপরাধ বিচিত্রা ডেস্ক: শুক্রবার(২৬শে মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী আলোচনা সভা ও র‌্যালী করেছে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন।পাবনা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, গাজীপুর, রাজবাড়ী, শেরপুর, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া,ময়মনসিংহ,বরগুনা,চট্টগ্রামসহ প্রায় ৩০টি জেলায় উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস  পালন করে ভূমিহীনদের এ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

পাবনার আতাইকুলায় বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইদুর রহমান লুৎফর, সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, পাবনা সদর উপজেলার সভাপতি খলিলুর,অর্থ সম্পাদক  উকিল বিশ্বাস, ঢাকা কামরাঙ্গীর চর থানা  সভাপতি ডা.মোহাম্মদ মতিয়ার রহমানসহ স্থানীয় ভূমিহীন নেতাকর্মীরা।

এ সময় সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, “এবারের ২৬শে মার্চ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। স্বাধীনতার এ ৫০ বছরে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছি। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসানো শেষ। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল ‘কর্ণফুলী টানেলে’র নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। বৈশ্বিক প্রায় সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসব প্রাপ্তি বিরাট অর্জন। যদিও অর্জনের অপর পিঠেই রয়েছে ঘুষ-দুর্নীতি, দলীয়করণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের কালো অধ্যায়। আজও আমরা ভূমিহীনরা রেললাইন ও রাস্তার দুই পাশে বসবাস করি। আমাদের বসবাস করার মতো কোন জায়গা নাই।”

তিনি আরও বলেন, “সারাদেশে অনেক খাস ভূমি রয়েছে, যে সকল জায়গা ভূমিদস্যুরা, দলীয় নেতারা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভোগ দখল করে আছে। ভূমিহীনরা রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার বঞ্চিত। ১৯৭৩ সনের ৩ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জনসভায় ভূমিহীনদের জন্য যে কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছেন তা পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করলে দেশে ভূমিহীনদের রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

শেখ নাসির উদ্দিন আরও বলেন, “স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান ও বিশিষ্টব্যক্তি বর্গের আগমনকে স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহায়তাকারী প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনকেও স্বাগত জানাচ্ছি। বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম দেশ। তাদের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিত চুক্তি আছে, আশা করি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনে সে সব চুক্তির বাস্তবায়ন হবে। বিশেষ করে বহুকাক্সিক্ষত সীমান্তহত্যা ও তিস্তা চুক্তির সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen − 3 =