Site icon Aparadh Bichitra

মাদক সম্রাট মাজেদের ‘রিভার ওয়েভ’ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অভিযানে মাদক ও ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধার গ্রেফতার ৩১

জেমস এ কে হামীম:

রাজধানীর উত্তরায় শ্রমিকলীগ নেতার মালিকানাধীন একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে পাঁচ তরুণীসহ ৩১ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রবিবার গভীর রাতে র‍্যাব পরিচালিত এ অভিযানে নগদ টাকা, মাদক ও ক্যাসিনো সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়।

আটকদের মধ্যে পুরুষ রয়েছে ২৬ জন। এছাড়াও বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।

র‌্যাব গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, হোটেলটির নাম ‘রিভার ওয়েভ’ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

এটি শ্রমিকলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মাজেদ খানের মালিকানাধীন।

উত্তরার ১০নং সেক্টর রানাভোলা এভিনিউ সড়কের ২২১ নং হাউজের, ২৩/২৪ নং রোডসংলগ্ন হোটেলটির অবস্থান।

খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়,

জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মাজেদ খানের মালিকানাধীন ‘রিভার ওয়েভ’ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টেটিতে দীর্ঘদিন ধরে ক‍্যাসিনো বাণিজ্য ও অসামাজিক কার্যকালাপ পরিচালিত হয়ে আসছিল।

ইতোপূর্বে মাজেদের বিরুদ্বে উত্তরায় জমি ও মার্কেট দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কর্মকান্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
তার বিরুদ্বে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা, জিডি, এবং পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত খাঁন অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন,আমাদের ৭১ বিশিষ্ট কমিটিতে তার কোন নাম নেই ।তিনি কি ভাবে শ্রমিক নাম ব্যবহার করেন তা আমার জানা নেই।

মাদক ও একাধিক হত্যা মামলার আসামী মাজেদ খাঁন ঃ

 মাজেদখাঁন বর্তমানে ডিবির করা মাদকের চোরাচালান মামলায় গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকার কারনে প্রকাশ্যে চলাফেরা করেননা। গত ২১/১১/০১৯ তারিখে মাদক চোরাচালান অভিযোগে ডিবির হাতে আটক দুই জনসহ মাজেদ খাঁনকে প্রধান আসামী করে ডিবি পুলিশের সহকারী পরিদর্শক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং -৩৭। এ ছাড়াও মাজেদ খাঁনের বিরুদ্ধে হত্যা-খুন, ধর্ষনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ১৯৯৯ সালে আওয়ামীলীগের শাসনামলে  তৎকালীন বৃহত্তর উত্তরা থানায় ১টি হত্যা মামলা হয়, মামলা নং -২৫(১১)৯৯, ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের সময়কালে বিমান বন্দর থানায় ১টি মামলা দায়ের হয়, মামলা নং -৩৮ (১)০৩ এবং তৎকালীন বৃহত্তর উত্তরায় থানায় আরো ২টি মামলা দায়ের হয়, মামলা নং ৪৬(৫)০২ এবং ০১(০৭)০৩। মাজেদখাঁনের মামলার বিষয়ে  তার পক্ষে প্রচারনা চালানো প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেন, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিলের জন্য করা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রমিকলীগের ঢাকা মহানগনর উত্তরের জনৈক নেতা জানান, আগের মামলাগুলো যদি উদ্দ্যেশ্য হাসিলের জন্য হয়ে থাকে তাহলে বর্তমানের মামলা সম্পর্কে সবারই জানা, আর বিএনপির আমলে উত্তরার ক্ষমতাসীন নেতা হিসেবে যুবদলের আজমুল হুদা মিঠুর নাম সকলের কাছেই পরিচিত, তিনি মাজেদখাঁনের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীক পার্টনার, যার কথায় উত্তরায় সবকিছুই হতো। তাই তার কোন মামলা রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য হাসিলের জন্য হয়নি ।