Site icon Aparadh Bichitra

হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, দেখার কেউ নেই

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ এসব অফিসে বিভিন্ন কর্মচারী ও দালাল, দিয়ে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলে ঘুষের কারাবার।অপরাধ বিচিত্রা অনুসন্ধানে জানা যায় যে, হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কমকর্তা, রবীন্দ নাথ রায়, নাঈম, শহীদ, মজলিস, কুমারেশ, মোশারফ, হাফিজ, মারুফ এবং দালালদের মধ্যে রয়েছেন, সেলিম, কামাল, জামাল,  হাবিবউল্লাহ  ইকবালসহ তারা মাসে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কেউ অভিযোগ করলে দালালরা দিচ্ছেন প্রাণনাশের হুমকি, আবার অনেক,মুখোশধারীরা ও জড়িত আছে বলে জানা যায়, এবং এ থেকে কর্মকর্তাদের নামে প্রতি মাসে অন্তত বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ঘুষের টাকা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যথা সময়ে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রতিদিন দেখা যায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরে আঞ্চলিক অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের এ চিত্র।ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে পেশ করা হয়েছে।

আশার কথা, করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দুদকের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তর সহ এর আঞ্চলিক অফিস গুলোর দুর্নীতি সমূলে উৎপাটিত হবে বলে অনেকের বিশ্বাস।

কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পরিবর্তন হয় নাই, তার কারণ জানতে চাইলে সাধারণ মানুষ বলেন হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সেবাপ্রাপ্তি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার হলো বাস্তবতা হলো,দেশে বর্তমানে ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যেন অলৌকিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থারা দেশের সরকারি সেবা খাতের-দুর্নীতি অনিয়ম ও হয়রানি চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে যে জাতীয়, জরিপ প্রকাশ করেছিল সেখানে দেখা গেছে- সেবা খাতে ঘুষের লেনদেন হয়েছে,বিভিন্ন অংকের টাকা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো আমাদের সেবা খাতে যেখানে দুর্নীতি,সেইখানে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের সরকার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা চালু করেছে সরকারি সেবার হোম ডেলিভারি সার্ভিস প্রকল্প। একটি নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলে সহায়তার জন্য কোন স্থলে পৌঁছে যাবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

যদি কারো ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্ধারিত কল সেন্টারে ফোন করে নিজের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় ও ঠিকানা জানাতে হয় এরপর এজেন্সি থেকে একজন মোবাইল সহায়ক নিয়োগ দেয়া হবে। সে সরাসরি আবেদনকারী ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করবে।

এ জন্য আবেদনকারীকে একদিন ড্রাইভিং এর পরীক্ষার জন্য মোটর লাইসেন্সিং অফিসে যেতে হবে এতে পাশ করলে বাড়িতেই ৫০ রুপি ফির বিনিময়ে পৌঁছে দেয়া হবে লাইসেন্স।একইভাবে পাসপোর্ট,আয়কর,সনদ, রেশন কার্ড সহ ৪০ টি সরকারি সেবা ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সে দেশের সরকার।

প্রশ্ন হল, যখন সরকারি সেবা মানুষের দরজায় পৌঁছে দেয়ার নাগরিক বান্ধব প্রকল্প চালু হয়েছে তখন এ দেশের অবস্থা কি? বিভিন্ন সংস্থার জরিপ বলেছে, প্রকাশিত ১৬, টি সরকারি সেবা লাগামহীন দুর্নীতি।সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ক্ষুন্ন করেছে এবং এর ফলে পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখার পরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রবাসী শ্রমিকরা পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন,প্রবাসী শ্রমিক সহ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে প্রয়োজনের সময় কোন রকম হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট পেতে পারে, সেজন্য সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তর সহ এর সব,আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস

দুর্নীতিমুক্ত করার পদক্ষেপ নেবে সেটা সাধারণ মানুষ আশা করেন, এবং উক্ত বিষয় নিয়ে অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকা নিউজ করায় বিগত ১৮/০৩/২০২১ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে, সহকারী পরিচালক আইরিন পারভীন ডালিয়া, উনি উনার বরাবরে একজন পাসপোর্ট

গ্রহীতাকে বাদী বানিয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে নেন, পরবর্তীতে তিনি উক্ত অভিযোগটি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য প্রেরণ করেন, উক্ত অভিযোগটি বতমানে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এস আই সুয়েল রানা তদন্ত করিবেন বলে জানাজায়,এ প্রতিবেদকের অনুসন্ধান চলমান।।