খেটে খাওয়া মানুষ লকডাউনে বিপাকে

0
691

তিন বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাজের খোঁজে ঢাকায় আসেন রতন মিয়া। এক বছর ঠিকঠাক কাজ চললেও গত বছরের লকডাউন থেকে কাজে ভাটা পড়ে তার। এবার লকডাউনে আরও বিপাকে পড়েছেন তিনি। জানালেন, কোনো কাজ পাচ্ছেন না। আয় করে বাড়িতে টাকা পাঠাতে না পারলে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাকরাইল থেকে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কোনো কাজ পাচ্ছি না। পরিবারের তিন বেলা খাবার যোগাড় করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

লালমনিরহাট জেলা থেকে ঢাকায় কাজে এসেছেন সুজন আলী। দিনমজুরি করেন। 

সুজন আলী জানালেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও পেটের দায়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরাচ্ছি। তবুও কাজ পাচ্ছি না। কাজ না করলে খাব কী?’ 
রাজধানীর মতিঝিল থেকে রিকশাচালক শরীফ হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে রাস্তায় লোকজন কম। পেট তো আর লকডাউন বোঝে না। সকালে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। একজন যাত্রী পেয়েছি এখন পর্যন্ত। পুলিশ রিকশা আটকে দিলো। চাকার হাওয়া ছেড়ে রিকসা উল্টে করে রেখেছে। এমন হলে আমরা চলবো কীভাবে।’

সুজন আলী, শরীফ হোসেনের মতো আরও অনেক নিম্ম আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন এই লকডাউনে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। এই লকডাউনের মধ‌্যেই পেটের তাগিদে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। তাদের একটাই লক্ষ্য, কাজ করে টাকা উপার্জন করে পরিবারের সদস্যদের মুখে কিছু খাবার জোটানো। 

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত খান  বলেন, ‘অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষ ঘোরাঘুরি করছে কি না তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সড়কে গণপরিবহন নেই। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশ পালনে আমরা কাজ করছি।’ এই মহামারি মোকাবিলায় সবাইকে  মাস্ক পরা ও স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − ten =