Site icon Aparadh Bichitra

তাহিরপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তকে দীর্ঘদিন যাবত কয়লা, পাথর ও চালসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁরের নিরাপদ রোড হিসেবে ব্যবহার করেছে চোরাচালানীরা। আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি। কিন্তু চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই সীমান্ত চোরাচালানীরা নিজেদেরকে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিদিন সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি ভারত থেকে অবাধে কয়লা, চাল ও পাথরসহ বিড়ি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পাচাঁর করছে। তবে জেলা শহর থেকে র‌্যাব ও ডিবি পুলিশ তাহিরপুর সীমান্তে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রসহ অনেককে গ্রেফতার করত সক্ষম হয়েছে। তাই সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি ও মাদকমুক্ত করতে সোর্স পরিচয়ধারীদের গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব ও ডিবি পুলিশের সহযোগীতা কমনা করেছেন সচেনত সীমান্তবাসী।

জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে কয়লা ও পাথর সহ মদ, গাঁজা, বিড়ি পাচাঁর শুরু করে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল মিয়া, এরশাদ মিয়া, জসিম মিয়া, নুরু মিয়া ও নবীকুল মিয়া রফিক গং। এখবর পেয়ে দশঘর নামকস্থানে অভিযান চালিয়ে ৪২ হাজার পিছ ভারতীয় বিড়ি ও ৬ বোতল মদসহ যাদুকাটা নদী থেকে ৭০ পিছ ভারতীয় বাঁশ ও ২৫ ঘনফুট অবৈধ চুনাপাথর জব্দ করে। অপরদিকে একই সময়ে টেকেরঘাট সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালানী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া ভারত থেকে কয়লা ও মদ পাচাঁরের পর বড়ছড়া নামকস্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ শত কেজি চোরাই কয়লা জব্দ করে বিজিবি। এছাড়া চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া ও বাবুল মিয়াগং কয়লা, চাল ও মদ পাচাঁর করলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম অবাধে ইয়াবা, মদ, কাঠ, লাকড়ি ও কয়লা পাচাঁর করছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের জানান- আটককৃত অবৈধ মালামাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় ও শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া পক্রিয়া চলছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।