আইসিএবি’র ওয়েবিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানি থেমে নেই কোভিড-১৯ এর পর দেশ আবার রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরবে

0
456

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। শুধু তৈরী পোশাকের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। তাই দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রপ্তানি পণ্যকে টার্গেট করে সরকার কাজ করছে। রপ্তানি পণ্যকে অধিক গুরুত্ব দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর একটি সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যকে ‘প্রোডাক্ট অফ দি ইয়ার’ ঘোষণা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার গুড্স, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এ চারটি রপ্তানি পণ্যের সেক্টরকে যোগ্য করে পরিকল্পিত ভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে  ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে, নির্মাণ প্রক্রিয়া চলছে। এখানে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদান, হাতে কলমে শিক্ষা প্রদান, ডিজাইনে বৈচিত্র আনা এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি পণ্যের কাচাঁমাল থেকে শুরু করে প্যাকেটিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন। বাংলাদেশের রপ্তানি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, কোভিড-১৯ এর কারনে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এর মাঝেও রপ্তানি মুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে, আমাদেরর রপ্তানি থেমে নেই। কোভিড-১৯ পরবর্তিতে বাংলাদেশ আবার রপ্তানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (০৮ মে) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অফ বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট ঃ অপারচ্যুনিটিস এন্ড চ্যালেঞ্জেস  শীর্ষক ওয়েবিনারে  (ডবনরহধৎ) এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য সরকার কাজ করছে। বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভুটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে, আরও বেশ কিছু দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০ টি স্পেশাল ইকনোমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। ফলে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়েছে।
 
আইসিএবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট আজিজ এইচ খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বিসিক এর চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমই এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, লেদার গুডস এন্ড ফুট ওয়্যার ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোটটার্স এ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট এবং শিপ বিল্ডার্স এ্যাসোসিয়েশন  এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাপ্ট ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টটার্স এ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট গোলাম আহসান,  বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সফ্টওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস

(বেসিস) এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর,  বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টটার্স এ্যাসোসিয়েশন এর পরিচালক মারুফ হোসেন, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রোসেসরস এ্যাসোসিয়েশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সঈদ মো. সোহরাব হাসান এবং আইসিএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + thirteen =