বন্দরে কৃষি জমির মাটি কেটে তৈরী করছে গভীর পুকুর, মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

0
456

জেলা প্রতিনিধিঃ কৃষি নির্ভর সবুজ শ্যামল নারায়ণগঞ্জের বন্দরে যেনো অভিশাপ হিসেবে আঘাত হেনেছে অবৈধ ইটভাটা।এসব ইটভাটায় ইট তৈরীর প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষিজমির উর্বর মাটি বা টপ সয়েল।বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন ও মদনপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত এমবিসি ইটভাটার মতো কয়েকটি ইটভাটায় আশেপাশের কৃষিজমির মাটি কৃষকদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে মাটি কিনে পাশের জমির মাটি না কিনে ভেকু দিয়ে গভীর পুকুর তৈরী করায় আশেপাশের জমিগুলো রাতারাতি ভেঙ্গে গিয়ে পুকুরে পড়ে গিয়ে কৃষিজমি ধ্বংস হচ্ছে।পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাধ্য হয়ে এসব ভূমিদস্যু আলমগীরের কাছে গিয়ে নিজেদের কৃষিজমি রক্ষার জন্য অসহায়ের মতো বসে থাকে।পরবর্তীতে টাকা না দিয়েই আশেপাশের সকল কৃষিজমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নেয় ইটভাটা মালিক আলমগীর।এভাবেই দিনের পর দিন চলতে থাকায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ও মদনপুর ইউনিয়নের একাংশ মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।তাছাড়া ইটভাটা মালিক আলমগীর সরকারী রাস্তা ঘেসে কৃষিজমির মাটি কেটে পুকুর তৈরী করায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তাটিও পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

যেকোন সময় রাস্তাটি পাশের গভীর পুকুরে পরে গিয়ে পথচারীরা হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান এলাকাবাসী। ইটভাটা মালিক ভূমিদস্যু আলমগীর নিজেই ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি কেটে নিয়ে তা অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলে জানায় ভুক্তভোগী কৃষকরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভূমিদস্যু ও ইটভাটার মালিক আলমগীরের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কারও সাথে কথা বলবেন না বলে জানান এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব করছেন বলে দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার কে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসমা সুলতানা নাসরিনকে পাঠালে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরও লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন ব্যবস্থা নিবেন না বলে রহস্যজনক ভাবে চলে যান।

এদিকে কৃষকরা প্রাণ ভয়ে মাটি সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে লিখিত কোন অভিযোগ না দিতে পেরে তাদের শেষ সম্বল কৃষিজমি হারিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ এর সাথে কথা বললে তিনি কৃষকদের কৃষিজমি রক্ষা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 1 =