শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে বেপরোয় যুব সমাজ

0
859

কাজি আরিফ হাসানঃ বিশ্বে করোনা মহামারিতে ইতিমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখের বেশি এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৪২ লাখের বেশি। এই করোনা মহামারি ছোবলে ঠিক একই ভাবে বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনা সংক্রামণে মারা যায় ১২ হাজারের বেশি এবং আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮ লাখের কাছাকাছি। এই করোনা সংক্রামনে অর্থনৈতিক চাকাটা কিছুটা দূর্বল হয়ে গেলেও তার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,তেমনি যুব সমাজ হয়েছে উশৃঙ্খল। রাজধানীর উত্তর সিটিতে সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায় দক্ষিণখাণ এলাকায় বর্তমান সমাজে উঠতি বয়সের ছেলেরা সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধর্মলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এবং সেই সাথে তাদের বেপরোয় হয়েও উঠতে দেখাযায়। এরকম শুধু রাজধানীর দক্ষিণখানে নয় সারা দেশেই এ যুব সমাজের অবক্ষয় চোখে পড়ে। এ ধরনে উঠতি বয়সের ছেলেদের যেন শাষন করারও কেউ নাই। তথ্য নিয়ে জানতে পারাযায় এ বেপরোয়া হওয়ার কারন একটাই  মরন নেশা ভয়াল মাদক।  উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা মরণ নেশা গাজা,ইয়াবা সহ বিভিন্ন নেশার সঙ্গে  জড়িয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। আর এ নেশার টাকা যোগাড় করতে শুরু করেছে চুরি,ছিনতাই,চাঁদা বাজি সহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কাজের সাথে তারা জড়িয়ে পড়ছে। এমন কি এ নেশার টাকা জন্য বাবা-মা,ভাই-বোন এমনকি সমাজের বয়যেষ্ঠদের সাথে অসন্মানও করতে দেখাযায়।

এধরনের উঠতি বয়সের ছেলেরা আবার কোন কোন রাজনৈতিক নেতারে ছত্র ছায়ায় থাকে বলে জানতে পারাযায়। এর কারনে সমাজে কোন বয়যষ্ঠ ব্যক্তিরাও কিছু বলতে পারেন না। তারা শাসন করা চেষ্ঠা করলে তখন এই উঠতি বয়সের ছেলেরা বলে আমাদের বড় ভাই আছে কিছুই হবে না। এমন কি এ ধরনের উঠতি বয়সের ছেলেরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের (দক্ষিণখান মহিলা কলেজ,গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ,প্রেমবাগান সংলগ্ন কেসি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ,বঙ্গমাতা স্কুল এন্ড কলেজ,

উদয়ন স্কুল এমন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে)সামনেও জটলা হয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় যার কারনে অভিভাবকার তাদের মেয়েরা যদিও বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তারপরও তাদের সন্তান বাহিরে বের হলে নিচিন্ত হতে পারেন না। এ সম্যস্যা শুধু দক্ষিণখান নয় সমগ্রহ ঢাকা শহরে পাড়া-মহল্লায় মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামনে এ ধরনের উঠতি বয়সের ছেলেদের উশৃঙ্খলতা দেখাযায়।

এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারাযায় বর্তমান উঠতি বয়সের ছেলেরা যে কি হয়েছে আমাদের মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েও খুব দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। আর এ বিষয়ে পুলিশও বা কি করছেন যে একটা মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে উশৃঙ্খল,বখাটে ছেলেরা আড্ডাদেয় পিছন থেকে মেয়েদের নাম ধরে ডেকে বাজে আওয়াজ করে।

এদের বিরুদ্ধে আবার প্রতিবাদ করতে গেলে তখন তারা আবার এলাকার বড় ভাই অর্থাৎ রাজনৈতিক পর্যায়ে টেনে নিয়ে যায়। শুধু এ যুবকেরা এটা করেই ক্ষেন্ত নয় তার নেশা করে রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া উচ্চ গতিতে মটরসাইকেল চালিয়েও সেই সাথে হর্ণ বাজিয়ে উত্তক্ত করছে এলাকাবাসিকে এমনকি মাঝে মাঝে তারা দুর্ঘটনার সন্মখিন হয়ে থাকা কথা জানা যায়।

এ ধরনের উশৃঙ্খণ যুবকদের সমাজে কে শাসন করে আর কারাই বা এদের শেলটার দাতা ? এ যুব সমাজের অবক্ষয়ের বিষয়ে এলাকার কিছু অভিভাবকে বক্তব্যে জানা যায়, করোনা সংক্রামণের কারনে বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধা আর একারনে যবক বা কিশোরদের কোন কাজ না থাকায় তারা বিকল্প পথে পাড়ি জমাচ্ছে,

কেউ অপরাধ মূলক কাজে আবার কেউ বা হতাশায় মাদকে ছোবলে অক্রান্ত হচ্ছে। সেই এই যুবকরা  হয়ে পড়ছে বেকার এবং তারা সেই সাথে আসক্ত হয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অপরাধ মূল কাজ ও অনলাইনে গেমে।

এ ধরনের অভিভাবকদের বক্তব্য প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা এলাকাকার মোড়ে সাদা পোষাকে প্রশাষনের কর্তব্যরত লোক থাকা উচিৎ এবং সেই সাথে প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দূর্ঘটনা এড়াতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা একান্ত প্রয়োজন,এটা সরকারি হোক আর এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে হোক এ ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা খুবই জরুরী।

এ উঠতি বয়সের বেপরোয়া যুব সমাজকে রুখতে হলে এবং মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে মাদক মুক্ত সমাজ সমাজের বিকল্প নেই।  তাই এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বয়যেষ্ঠদের এগিয়ে আসতে হবে। সেই সাথে শ্লোগন হতে হবে মাদক মুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গিকার। 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × five =