মোঃ আহসানউল্লাহ হাসানঃ
আড়াই হাজার টাকার পর্দা দাম ৩৭ লাখ টাকা, একটি অক্সিজেন জেনারেটরের দাম ৫ কোটি ২৭ লাখ, একটি সামান্য পদে চাকুরীর জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন, বিদেশে শতশত কোটি টাকার সম্পদের মালিক উপ-সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, এমকি এই দপ্তরের ড্রাইভার মালেকও যখন ৩শ কোটি টাকার উপরে সম্পদের মালিক এমন অগনিত পাহাড়সম দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ভিত্তিহীন ঘটনায় মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতির উপর অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা স্বাস্থ্যখাতের এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গলার কাটা হয়ে বিধে গেছে। আর এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে রোজিনা ইসলামের উপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কিছু রাষ্ট্রীয় নথির ছবি তোলার অভিযোগে মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো নথিগুলো কিসের নথি ছিলো, কোথায় ছিলো, কিভাবে ছিলো, গুরুত্বপূর্ন নথি তো লকারে সংরক্ষিত থাকে তাহলে সিসিটিভিতে ঘেরা মন্ত্রনালয়ের ভিতরে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম কিভাবে চুরি করে নথির ছবি তুলেছে সেই দৃশ্যগুলো কেন সামনে আসছে না।
তাছাড়া পুলিশ যেকোন ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেলেই কেবল ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকে, কিন্তু সাংবাদিক রোজিনার ক্ষেত্রে সেই তদন্ত রিপোর্টে কি এমন সত্যতা পাওয়া গেছে তাও এখন পর্যন্ত অজানা। আর পুলিশই এতোটা আগ্রহে মামলা নিলেন কেন, অথচ মামলার জালে বন্দি করে সাংবাদিক রোজিনাকে শাররিক ও মানসিকভাবে হয়রানী করা অব্যাহত রয়েছে।