অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন। আজ ১৯ মে, ২০২১ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টা আটকে রেখে তার উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নিপীড়ণ এবং মামলা দায়েরের ঘটনা নজীরবিহীন। তিনি রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালেয়র দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের আশোভন আচরণের সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপমুক্ত এই তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। শাহেদ, সাব্রিনা, মিঠু সিন্ডিকেটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাবে সর্বক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন চলছে। স্বাস্থ্যখাতেও চলছে নৈরাজ্য এবং সীমাহীন লুটপাট। লুটেরাদের হাতে দেশ এবং দেশের জনগণ আজ জিম্মি। নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ শামসুদ্দীন জনগণকে জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি রোজিনা ইসলামের মুক্তি এবং সাগর-রুনির হত্যা মামলার চার্জশিট অবিলম্বে প্রদানের আহ্বান জানান।
নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হিসেবে জড়িত গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
অফিসিয়াল সিক্রেক্টস অ্যাক্ট হচ্ছে অনুসন্ধানী ও বস্তুুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অন্তরায়। এই আইন সাংবাদিক ও জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের বড় ধরণের প্রতিবন্ধকতা।ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি এক্ট সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধার সৃষ্টিকরে ও মনস্ততাত্বিক চাপে ফেলে সাংবাদিকদের।
জনগণের তথ্য প্রাপ্তির স্বার্থে স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক সকল কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন,পেশাদার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে”।