আসামী তালিকায় নেই অভিযুক্তরা, কলাপাড়ায় পুত্র হত্যার বিচার নিয়ে শংকিত বাবা

0
352

পটুয়াখালী উপকুলীয় প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুত্র হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পিতা। বুধবার (২ জুন) দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে কুয়াকাটা পৌর এলাকার কচ্ছপখালী গ্রামের মোঃ সিদ্দিক ভদ্র এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় লতাচাপলি ইউপি সদস্য মোঃ হারুন-অর-রশিদ সহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ সিদ্দিক ভদ্র বলেন, আমি নিজ জমিতে কৃষি কাজ করি এবং কৃষি কাজের অবসরে আমি ও আমার পুত্র ভিকটিম মোঃ মিরাজ ভদ্র মোটর সাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে দুই ছেলে এবং এক মেয়েসহ স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতেই বসবাস করছিলাম। আমার ছেলে ভিকটিম মিরাজ বিবাহ যোগ্য হওয়ায় গত বছর লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের মোঃ ফোরকান মিয়ার কন্যা ফারজানা আক্তারের সাথে পারিবারিক প্রস্তাবের মাধ্যমে তার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই চলছিল। পরে প্রায়শ:ই আমার পুত্র বধূ ফারজানা তার পূর্বের প্রেমিক পার্শ্ববর্তী  বরগুনা জেলার বামনা থানার জয়নগর গ্রামের মোঃ নাসির মিস্ত্রীর ছেলে মোঃ রাকিব এর সাথে মোবাইলে কথা বলে। এ নিয়ে তাদের বিবেধ সৃস্টি হয়। পরে যৌথ তালাকের মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।তিনি আরও বলেন, এরপর পূর্ব আক্রোশের বসবতি হয়ে ঘটনার দিন সকাল অনুমান ১১টার দিকে স্থানীয় তুলাতলী পেট্রোল পাম্প হইতে মটর সাইকেলে পেট্রোল নিয়ে আমার ছেলে ভিকটিম মিরাজ বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিলে রাকিব ও সজিব ভিকটিম এর মোটর সাইকেলের সামনে দাড়িয়ে গতিরোধ করে। এসময় রাকিব ও সজিব ভিকটিম মিরাজকে হাত পা কেটে ফেলাসহ হত্যার হুমকি দেয়।

এতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস রাকিব, সজিব, ফারজানা, ফোরকান মিয়া, মামুন অজ্ঞাতনামাদের পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার পুত্র মিরাজ ভদ্রকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করিয়া তাহার লাশ তোফাজ্জেল মাদবরের মরিচ ক্ষেতের মধ্যে ফালাইয়া রাখে।

সিদ্দিক ভদ্র বলেন, ২০ মে রাতে পরিবারের সাথে একত্রে রাতের খাবার খেয়ে মিরাজ হাতে মোবাইল নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। পরে আর বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সকলে উদ্বিগ্ন হয়ে বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরের দিন শুক্রবার সকাল অনুমান ৯টার দিকে প্রতিবেশী কাদের মুসুল্লীর নিকট শুনতে পাই যে, মোঃ তোফাজ্জেল মাতুব্বরের মরিচ ক্ষেতে আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে।

বর্ণিত স্থানে ভিকটিম এর মৃত দেহ উত্তর দিকে মাথা দক্ষিনে পা চিৎ হওয়া অবস্থায় পড়ে ছিল। তার পরিহিত জিন্সের প্যান্টের বেল্ট ও প্যান্টের চেইন খোলা, নাক থেকে রক্ত, মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। বুকের ডান পাশে পাঁজরের নিচে ও উপরে আঘাতের চিহ্ন এবং ডান বাহুতে তিনটি পোড়া ক্ষত চিহ্ন দেখতে পাই।

পরে মহিপুর থানায় আসামীদের নাম ঠিকানা দিয়েও অভিযোগ দেয়ার পরও বর্ণিত আসামীদের নাম উক্ত এজাহারে আসামীর কলামে রহস্যজনকভাবে বাদ দিয়ে পুলিশ অজ্ঞাত আসামীদের নামে দায়সাড়াগোছের একটি এজাহার রের্কড করে বলে সিদ্দিক ভদ্র অভিযোগ করেন।

এদিকে এ হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পিতা বুধবার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিজ্ঞ আদালত যা আদেশের জন্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 − nineteen =