পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স এর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

0
720

তৌহিদুর রহমান: পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এর বিরুদ্ধে  গ্রাহকের পাওনা মিটাতে অবহেলা ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।  জানা গেছে, ২০১৮ সালে কয়েক হাজার বীমা গ্রহীতার ডিপিএস পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও তারা এখনো আর্থিক মুনাফাসহ সম্পূর্ণ বীমা অংক বুঝে পাচ্ছে না। এসব ভূক্তভোগীদের মধ্যে রওশন আরা পারভীন অপরাধ বিচিত্রাকে জানান, নেত্রকোনা জোনাল অফিসে ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি ৮ বছর মেয়াদে এবং মাসিক ৫শ টাকা কিস্তিতে একটি ডিপিএস পলিসি খোলেন। তার পলিসি নং-১৪১৩৯০০৩৬৭-৮। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার বীমার মেয়াদপূর্তি হয়েছে। ওই গ্রাহক মুনাফাসহ সম্পূর্ণ বীমা অংক বুঝে পেতে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স এর নেত্রকোনা শাখার ম্যানেজার বরাবরে একটি পূর্ণাঙ্গ আবেদনও করেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে ২ বছর ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও ওই ইনস্যুরেন্স কর্তৃপক্ষের এখনও টনক নড়েনি। ওই ভূক্তভোগীর মাসিক জমা পাস বই যাচাই করে দেখা যায়, তিনি ৮ বছরে অর্থাৎ ৯৬ মাসে ৪৮ হাজার টাকা জমিয়েছেন। পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের ডিপিএস পলিসির সকল নিয়ম নীতি অনুসরন করেই যথাসময়ে শেষ কিস্তি পরিশোধও করেছেন। কিন্তু তারপরও তিনি তার সমুদয় বীমা অংক বুঝে পাচ্ছেন না।

ওই বীমা গ্রাহক আরোও জানান, তার মত হাজার হাজার বীমা গ্রাহক প্রতারিত হয়ে প্রতিদিন এসব অফিসে ভীড় জমাচ্ছে। এই বীমা গ্রাহক নেত্রকোনা জেলার নাগড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের স্ত্রী। স্বামী সফিকুল ইসলাম ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড এর একজন কর্মকর্তা।

তিনি বর্তমানে রাজধানীর দিলকুশা শাখায় কার্ড ডিভিশনে কর্মরত আছেন। ভূক্তভোগীর স্বামী সফিকুল অপরাধ বিচিত্রাকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-উন্নত দেশগুলির ন্যায় আমাদের দেশের কর্মজীবি প্রত্যেক নাগরিকের জন্য লাইফ ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। কিন্তু লাইফ ইনস্যুরেন্স এর সেবার মান যদি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের মত হয়।

তাহলে হাজার বছরেও ওইসব দেশের মত লাইফ ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা সম্ভব হবে না। তিনি আরো জানান-এই ইনস্যুরেন্স এর যে কর্মকর্তা আমার স্ত্রীকে ডিপিএস বীমা পলিসি খুলে দিয়েছিলেন তিনি আমাকেও জানিয়েছিলেন,

৮ বছর মেয়াদে মাসিক ৫শ টাকার কিস্তিতে অর্থাৎ ৯৬ মাসে ৪৮ হাজার টাকা জমা হলে ১ লক্ষাধিক এবং একই মেয়াদে ১ হাজার টাকার কিস্তিতে মেয়াদ পূর্তিতে ২ লক্ষাধিক টাকা পাওয়া যাবে। তাছাড়া জটিল রোগের চিকিৎসা সুবিধা, অঙ্গহানি ও মৃত্যু ঝুকির আর্থিক সুবিদাও পাওয়া যাবে।

তবে তার প্রতিশ্রুতির সাথে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবতার কোন মিল খুজে পাচ্ছেন না। ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের ইনচার্জ মনজিল এর সাথে যোগাযোগ করে তারা জেনেছেন, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ রওশন আরা পারভীন এর ডিপিএস বীমা পলিসির অনুকুলে ৩১ মার্চ ২০২০ তারিখে মুনাফাসহ সম্পূর্ণ বীমা অংকের পরিমান ৫০ হাজার ৯শ টাকার চেক ইস্যু করেছেন।

কিন্তু তারা তাও এখনো হাতে পাননি। ওই দম্পতি জানান, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে আমরা ডিপিএস বীমা পলিসি করে চরমভাবে প্রতারিত হয়েছি। আমাদের মত ভূল আর যেন কেউ না করেন। এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের ইনচার্জ মঞ্জিল এর মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 + eleven =