হবিগঞ্জ সদরে এক হাজার পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পবিত্র কোরআনের হাফেজ কে কুপিয়ে হত্যা

0
667

স্টাফ রিপোর্টার: এক হাজার টাকা পাওনার জন্য হবিগঞ্জ শহরতলীর পশ্চিম ভাদৈ গ্রামে হামলায় আহমদ আলী স্বপন (২৪) নামের এক পবিত্র কুরআনের হাফেজ নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এবং জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃজমির আলীর পুত্র।এ ঘটনায় মুল ঘাতক মাইনুল ইসলাম সহ দুইজনকে আটক করেছে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ।বিগত ২২/০৪/২০২১ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার রাত ১০:৩০ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম ভাদৈ ভাইপাস রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।এক সূত্র জানায়, হাফেজ আহাম্মদ আলী স্বপন একই এলাকার ভাড়াটিয়া মাইনুল নামের এক যুবকের কাছে ১ হাজার টাকা পেতেন।ওইদিন ও সময়ে পাওনা টাকা নিয়ে মাইনুলের সাথে স্বপনের বাকবিতণ্ডা হয় কিছুক্ষণ পর মাইনুল সহ ৩/৪ জন লোক স্বপনকে ভাইপাস রোডে একা পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে বাম চোখের উপরে কপালে ঘাই মারিলে স্বপন গুরুতর আহত হয়।আহত অবস্থায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ আল শিপন স্থানীয় লোকজন এর সহযোগিতায় স্বপনকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল এবং পরে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিগত ২৩/০৪/২০২১ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ১০:২০মিনিটে তিনি মারা যান।

ওই দিন রাতেই হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মাইনুল সহ ২ জনকে আটক করেন। এ ঘটনায় থানায় মৃত আহাম্মদ আলী স্বপনের পিতা, মোঃ জমির আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এবং ওইদিন রাত ১০ ঘটিকার সময়ে স্বপনের জানাজা শেষে তার গ্রামের বাড়ি তেতৈয়া তাকে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, মূলহোতা মাইনুল কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।পরবর্তীতে প্রধান আসামী মাইনুলসহ ২জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে উক্ত হত্যা মামলার ৩নং আসামী সহ অজ্ঞাত একজন আসামী পলাতক রয়েছেন। উক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারেরে অভিযান অভ্যাহত রয়েছে। মামলাটি তদন্তধীন আছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × two =