Site icon Aparadh Bichitra

চট্টগ্রাম বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গেস্ট হাউজ, বিনোদন পার্ক নামে রেষ্ট হাউজ, গেস্ট হাউজ, কপি হাউজ এ আলাদা রুম রেখে চলছে মাদক ও দেহ ব্যবসা

চৌধুরী মুহাম্মদ রিপনঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে প্রশাসনের নজরদারি ছিল কম এই সুযোগে চট্টগ্রাম মহানগর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় এবং আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে শহরের বাসা বাড়ীতে অসামাজিক কর্মকান্ড চলে আসলেও প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেবলে সূত্রে জানায়। জানা যায় যে, চট্টগ্রাম শহরের ৪০টি ওয়ার্ডে বিভিন্নস্থানে বসবাসরত আবাসিক, অনাবাসিক বাসা বাড়ীতে এক ধরনের ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট, বন্দর এলাকায় বিভিন্ন গেস্ট হাউজ সহ বিভিন্ন বিনোদন পার্কের রেষ্ট হাউজ, গেষ্ট হাউজ নামধারী,  সিইপিজেড, নিউমুরিং, ব্যারিষ্টার কলেজ রোড, কলসী দিঘীর পাড়,মাইলের মাথা, নারকেল তলা, মহাজন ঘাটা, সিমেন্ট ক্রসিং, কে ব্লক,  অভিজাত আবাসিক বাসা ও বিভিন্ন ব্যবসায়েই অফিসে, এইচ ব্লক আবাসিক এলাকায় বউ শ্বাশুড়ি নামে পরিচিত দীর্ঘদিন তিনটি ফ্লাইট ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা, এই বউ শ্বাশুড়ি র বাসায় কয়েকবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বন্ধ করতে পারিনি সূত্রে জানা যায়। বি ব্লক ও সরাইপাড়া লৌহার পোল এর পাশের বিল্ডিং  এলাকা, নয়া বাজারবিশ্বরোড, সুবজ বাগ, হালিশহরের বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা বাসা ভাড়া নিয়ে প্রত্যেক বাসাতে ২/৩ জন যুবতী রেখে প্রতিনিয়ত দেহ বাণিজ্যচালিয়ে যাচ্ছে।আবার কেউ সুকৌশলে বাসার কাজের মেয়ের পরিচয় দিয়ে তাদেরকেওদেহ ব্যবসায় জোর পূর্বক বাধ্য করছে বলে জানা যায়।

এক সূত্রে জানা যায় যেসব বাসায় মক্ষীরানী দেহ ব্যবসা চালায় তারা যাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় তাদের কে ২০০/৩০০ ও বড়জোর ৫ শত টাকা দিয়ে থাকে খদ্দর হতে ১ হাজার দেড় হাজার ২হাজার টাকা আবার নাইটে ৩ হাজার ৪হাজার টাকায়, যে সারারাত দেহ দিয়ে রাত খাটালো সেই ফেলো দেড়হাজার টাকা।   মনসুরাবাদ এলাকায় মক্ষীরানী লিজা দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সাথে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

কিছুদিন আগে হালিশহর এলাকা র মক্ষিরানী  রুনা নামে এক মক্ষীরানী র বাসা থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় পুলিশ এক মেয়েকে উদ্ধার করে জানা যায়। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ভূমিকা পালন করলে অপরাধীরা ধরা পড়ে। অথচ প্রশাসনের এক ধরনের কামখেয়ালীর কারণে চট্টগ্রাম শহরের আবাসিক,অনাবাসিক বেড়ে চলেছে দেহ ও মাদক ব্যবসা, বড়পুল ৯নং গেইট এলাকায়,বড়পুল একটা বেসরকারি হাসপাতালে উপরে হোটেলে নিরবে চলছে দেহ ব্যবসা, 

এমনকি খুলশী থানা সংলগ্ন নিজ বাড়ীতে ২য়তলা একটি বাসা বাড়ীতে কিছু অসাধু পুলিশ সোর্স ও স্থানীয় বিভিন্ন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হামছা ছামছার সহযোগিতায় সম্পূর্ণরূপে অসামাজিক কর্মকান্ড চলছে।খুলশী বিভিন্ন আবাসিক ফারুক নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সব কিছু মেনেজার করে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও বেশ কয়েকবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বন্ধ করলেও কিছু দিন বন্ধ রেখে আবারও সেই তার ব্যবসা করে যাচ্ছে।

  বলেস্থানীয়রা অভিযোগ করেন। চট্টগ্রাম গরিববুল্লা শাহ মাজার এলাকায় একটা গেস্ট হাউজে মাদক ও দেহ ব্যবসা চলতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ থাকলেও নতুন করে আবার চালু করেছে আমাদের প্রতিনিধি র   অনুসন্ধানে দেখা যায়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম শহরের নামিধামী বেশকিছু আবাসিক হোটেলেও এ সমস্ত দেহ ব্যবসার মতো রমারমা বাণিজ্য চলে আসছে।

তাদেরকে সট ও নাইটে বিকালে চারটার থেকে ছয়টায় ডুকে রাত ১০/১১ টায় বাহির হয়, আবার নাইটে র দেহরানী ও খদ্দর সকাল ৭/৮ টায় বের হয়ে আসে।  অথচ এ সমস্ত আবাসিক হোটেল ও বাসা বাড়ীর মালিকরা প্রশাসনের সোর্সদের মাধ্যমে সুসম্পর্ক রেখে প্রতিনিয়ত বাসা বাড়ীগুলো পতিতাতালয়ে পরিণত করেছে।

সিইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়কে দেহ ব্যবসায়ী সর্দারনী মনি গ্রাহকদের সাথে কন্ট্রাকের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা প্রদান করছে বলেগ্রাহক সূত্রে জানা যায়। উল্লেখ্য যে, উক্ত পতিতা রাণী মনি সিইপিজেডএলাকার বন্দর থানাধীন রোজি বিল্ডিং এ দীর্ঘদিন বাসা ভাড়া নিয়ে পতিতাবাণিজ্য চালিয়ে আসার এক পর্যায়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ে বর্তমানে সিইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডে বাসা ভাড়া নিয়ে দেহ বাণিজ্য নিয়মিতচালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের শহরের সিইপিজেড একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। উক্ত এলাকায় গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের প্রতিয়মান যাত্রার কারণে প্রতিদিন সকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা অসহায়, অনাথ,গরিব পরিবারের যুবতীরা চাকুরির আশায় সিইপিজেড এলাকায় ধর্ন্যা দিলে এসমস্ত যুবতীদের সুকৌশলে কিছু পতিাত সর্দারনী অতিরিক্ত বেতনের প্রলোভন দেখিলে চাকুরির দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে আটকিয়ে রেখে জোরপূর্বক তাদেরকে দিয়ে দেহ বাণিজ্যে বাধ্য করছে বলে সূত্রে জানায়।

এমনিক এমসমস্ত যুবতীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশেরবিভিন্ন  স্থানসহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে বলে সূত্রে জানাযায়। এ ব্যাপারে সিইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  এরসাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী প্রতিনিয়ত সজাগ রয়েছে। এমনকি আমি নিজেও এ ব্যাপারে অপরাধীদের ধরতে অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রাপ্ত একটিসূত্রে জানা যায় যে, চট্টগ্রামের নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব আব্দুল জলিল মন্ডল যোগদান করার পর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অপরাধ প্রবণতা, অসামাজিক কর্মকান্ড কমলেও বর্তমানে উক্ত অপরাধীরা পুনরায় অপরাধকর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রে জানায়। বিশেষ একটি সূত্রে জানা যায় যে, অধিকাংশ বাসা বাড়ীতে অফিস আদালতের পরিচয়ে অফিস খুলে স্কুল, কলেজ

পড়ুয়া কোমলমতি মেয়েদেরকে দিয়েও অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এমনকিএই সমস্ত যুবতীদেরকে দিয়ে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নগ্ন পর্নো ছবি তৈরীকরছে বলেও গোপন সূত্রে জানা যায়। এ সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ডে অধিকাংশক্ষেত্রে বেশ কিছু নারী দিনের বেলায় বিভিন্ন অফিস আদালত ও গার্মেন্টসেচাকুরি করে থাকলেও এদের অনেকেই রাতের আধাঁরে হোটেল রেস্তোরায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। পতেঙ্গা থানাধীন একটি সূত্রে জানায়, বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটননগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সীবীচ সমুদ্র সৈকত।

সেই সূত্র ধরে এখানে গড়েঅসংখ্য নামে বেনামে আল ছালাদিয়া হোটেল। হোটেলগুলো সাগর পাড়ে অবস্থিত।বেরীবাঁধের উপর প্রবেশ করা মাত্রই এগিয়ে এসে যুবকরা হোটেল প্রবেশ করার জন্য বিভিন্ন সুব্যবস্থা রয়েছে যা যুবক যুবতীদের আকৃষ্ট করে। এ সমস্ত অনাবাসিক হোটেল গুলোতে ভিতরে বসার ও আপ্যায়নের কোন ধরনের সুব্যবস্থা না থাকলেও ভিতরে প্লাষ্টিক টাঙানো ছোট একটি কক্ষে একটি লম্বা টুল ও একটি টেবিলের সুব্যবস্থা রয়েছে। আর সেই সুব্যবস্থাকৃত লম্বা টুলই চলে অনৈতিক কার্যকলাপ। অথচ প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব।

পতেঙ্গা এলাকায় একটি বিনোদন পার্ক নামে রেষ্ট হাউজ ও ভাড়া করা দেহ ব্যবসায় নিয়ে রেষ্ট হাউজের রুমে মাদক সহ চলছে দেহ ব্যবসা। এ ব্যাপারে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সর্বশেষ সংবাদে জানাযায় যে, চট্টগ্রামের সুনামধন্য পুলিশ কমিশনার আইন হাতেনেয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত আবাসিক, অনাবাসিক হোটেলে চলে আসা অসামাজিক অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ হলেও পুনরায় অপরাধীরা তৎপর হয়ে কিছু পুলিশ সোর্স ও বকাটে নেতা নাম দারির সহযোগিতা নিয়মিত অসামাজিক অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

এদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের জনগণ ও প্রশাসন এগিয়ে আসার মাধ্যমে অপরাধ কর্মকান্ড চিরতরেবন্ধ করা সম্ভব হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অভিজাত খুলশী আবাসিক এলাকায় গেস্টহাউস ও রিসোর্টের আড়ালে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। যেখানে অভিযান চালালেই ধরা পড়ে দেহপসারিনী নারী ও পুরুষ। কিন্তু কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না এই অসামাজিক কর্মকান্ড। এ ঘটনায় ত্যক্ত-বিরক্ত এলাকাবাসী। আমাদের প্রতিনিধি বিভিন্ন ব্যক্তি সাথে আলাপে জানতে পারে পুরাপুরি দেহ ব্যবসার সাথে মাদক সেবন ও ব্যবসা জড়িত তাই দেহ ব্যবসার স্থান গুলো নির্মুল করতে পারলে মাদকের চাহিদা কমে আসবে।