তিয়েন আনমেন হত্যাকান্ড দিবস উপলক্ষে চিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিবাদ সভা চীনের তিয়েন আনমেন স্কয়ারে নিরীহ ছাত্রজনতার উপর বর্বর নৃশংসতার চিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিবাদ সভা

0
361

চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে নিরীহ ছাত্রজনতার উপর বর্বর নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক চিত্রপ্রদর্শনী ও প্রতিবাদ সভা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (০৪ জুন ২০২১ ) তিয়েন আনমেন হত্যাকান্ড দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্থান, পল্টন, কাকরাইল, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট, মৎসভবন, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও অপরাজেয় বাংলা চত্বরে প্রতিবাদী পোষ্টার ও ফেস্টুন সাঁটানো হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সভায়  সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। উক্ত চিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচিতে সংগঠনের মহাসচিব শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন জাসদের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সম্পাদক মো: মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা এহসান আজিজ, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এমদাদুল হক ছালেক  প্রমুখ। উল্লেখ্য ১৯৮৯ সালের ৪ঠা জুন চীনের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে সেনাবাহিনীর নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এতে প্রচুর মানুষের প্রাণহানি ঘটে। যার দরুণ সারাবিশ্ব তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। সেই সুবাদে আজও এই দিবসটি গণতন্ত্রমনা মানুষরা পালন করে আসছে।

সভাপতির বক্তব্যে তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দেশ হচ্ছে চিন, ১৯৮৯ সালের ৪ঠা জুন তিয়েনআনমেন স্কয়ারে নিরীহ ছাত্র গণহত্যা এবং কর্তৃত্ববাদী চীন সরকারের চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিশ্বের সকল দেশের প্রতিবাদ গড়ে তোলা সময়ের অপরিহার্য দাবি। ইতিহাসের পাতায় এই নৃশংস গণহত্যা কালো অধ্যায় হিসেবে চিরদিন থাকবে।

সেদিন হাজারো ছাত্র-জনতা গণতন্ত্র ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করে প্রাণ দিতে হয়েছিল, হাজারো প্রাণ ঝরিয়ে চীন আজও কোন অনুশোচনা ও গণহত্যার কোন সরকারি হিসাব আজও প্রকাশ করেনি। গণতন্ত্র আন্দোলনকারী ও মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ বলেছেন তিয়েনআনমেন এর ঘটনায় চীনের প্রতি ঘৃণা তৈরি করেছে বিশ্ববাসীর।

শি জিনপিং ২০১২ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে চীনের গণতন্ত্র আন্দোলনকর্মী ও মানবাধিকার আন্দোলন কর্মীদের মত প্রকাশে আরো সংকুচিত হয়ে পড়েছে, চীন সরকারকে এই বর্বরতার অনুশোচনা করতে বাধ্য করতে জাতিসংঘ এবং ওআইসি সহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে  এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন সরকারের ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো উইঘুর মুসলমানদের উপর সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন, বন্দিশালায়  মুসলমানদের উপর যে জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে তা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল, চীন সরকারের অনৈতিক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সমাজ সচেতন মানুষের এগিয়ে আসতে হবে,

আমরা মানবাধিকার কর্মী হিসেবে চীন সরকারের ইতিহাসের জঘন্য অত্যাচার ও নিপীড়নের পথ থেকে সরে আসার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি জোর দাবি  জানাচ্ছি। প্রয়োজনে চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদেরকে সঠিক পথে ফিরে আসার জন্য বিশ্ববাসীর নিকট আহবান জানাচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × four =