Site icon Aparadh Bichitra

শহীদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিট খারিজ

এস এম আওলাদ হোসেন: মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করে জারি করা গেজেট ও উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মোঃ রাসেল চৌধুরী। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের শুরুতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠে। পরে ওই মামলায় তিনি কুয়েতে গ্রেফতার হন। গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের আদালত পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান একটি গেজেট জারি করে। ওই গেজেটে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)

(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সেই কারণে সংবিধানের ৬৭(১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।

এরপর ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন ওই আসনে ১১ এপ্রিল উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে আগামী ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়।

এর মধ্যে তার বোন নুরুন্নাহার বেগম ও তার নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেন রিট করেন।