ইআরএফ-চায়না চেম্বারের সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী চায়না ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে

0
352

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন,  চায়না ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে  ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে
বাংলাদেশকে, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে তা কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চলছে। চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগি। চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্নফুলি  টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্রগ্রাম চার লেন প্রকল্পসহ অনেক মেঘা প্রকল্প  বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি সেক্টরে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে  প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (০৯ জুন) ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড  ইন্ডাষ্ট্রি কর্তৃক যৌথ ভাবে আয়োজিত “বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক এন্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক”  শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃড় হয়েছে।

এসময় চায়না বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে জয়েন্টলি সম্ভাব্যতা যাচাই এর জন্য এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।  চীন বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীক অংশীদার। বাংলাদেশের সাথে চীনের গতবছরের বাণিজ্য ছিল ১২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের।

এসময় বাংলাদেশ চীনে রপ্তানি করেছে  ০.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১১.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। চীনের দেয়া বাণিজ্য সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বাণিজ্য ব্যাবধান কমানোর চেষ্টা চালাছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এর সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ(পিআরআই) রিসার্স ডিরেক্টর ড. আব্দুল রাজ্জাক।

গেষ্ট অফ অনারের বক্তব্য রাখেন- ঢাকায় নিযুক্ত চীনের এ্যাম্বাসেডর লি জিমিং (খর ঔরসরহম),  বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের এ্যাম্বাসেডর মাহবুব উজ জামান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড  ইন্ডাষ্টি এর প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মর্তুজা, সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ড শাহ মো. সুলতান উদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা এবং ইআরএফ এর প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভি ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − one =