হাফেজ আহমদ আলী স্বপন জীবিত থাকাকালীন শশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন

0
788

স্টাফ রিপোর্টারঃ অপরাধ বিচিত্রা অনুসন্ধানে জানা যায় যে, হবিগঞ্জ সদর পশ্চিম ভাদৈ গ্রামের পবিত্র কুরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপন হবিগঞ্জ শহরে মোহন পুর এলাকার মোঃ সেলিম মিয়া পিতা মৃত সুজাত উল্লা,তার স্ত্রী মিলন বেগমের তৃতীয় নম্বর মেয়ে অনন্যাকে  ইসলামিক শরীয়তের বিধান মতে বিয়ে করেন। এবং তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে-শান্তিতে ছিল, বিগত ২১/০২/২০২০ইং তারিখ পবিত্র কুরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপন, তিনি জীবিত থাকাকালীন শশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন, উক্ত এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন তার শ্বশুর এবং শাশুড়ি তাহাকে বিভিন্নভাবে কুপরামর্শ ও লোভনীয়  প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তাহার পিতালয় হইতে কতেক সাক্ষীদের সম্মুখে উন্নত মানের সুযোগ সুবিধা দিবে বলে বাড়ী হইতে বাহির করে নিয়ে যান কিন্তু তাহাদের বাড়িতে না নিয়ে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেন, 

উক্ত পবিত্র কোরআনের হাফেজের হবিগঞ্জ চাষীবাজার একটি পলিটি মুরগির ফার্ম এর দোকান ছিল উক্ত দোকানটি তার শ্বশুর দেখাশোনা করতেন, সেই সুবাদে তার শশুর তার কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন,

এক পর্যায়ে তার শ্বশুর সর্বমোট ৫৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও টাকার জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করতেন এবং টাকা না দিলে তাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছিলেন, 

পরবর্তীতে পবিত্র কোরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপন নিরুপায় হয়ে তাহার পিতালয়ে চলে আসেন, সেই বিষয়টিও শ্বশুর-শাশুড়ি সহ্য করতে পারেন নাই, 

পরবর্তীতে বিগত ২৩/০৪/২০২১ ইং তারিখ, পবিত্র কোরআনের হাফেজ তাহার বাসার এলাকায় একটি কুচক্রী মহলের চক্রান্তে খুন হয়েছেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি খুনের মামলা হয়েছে উক্ত মামলায় প্রধান আসামী সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

বর্তমানে উক্ত পবিত্র কোরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপন জীবিত কালীন সময়ের যে এজাহারটি দিয়ে ছিলেন এখন, খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম তদন্ত করিতেছেন। 

বর্তমানে এসআই আব্দুর রহিম জানান জীবিতকালীন সময়ে পবিত্র কোরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপন যে এজাহারটি, দিয়ে ছিলেন সেইটা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + 14 =