হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের কান্ড, কোথাও বিচার দিয়ে ও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না

0
1164

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ অপরাধ বিচিত্রা অনুসন্ধানে জানা যায় যে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভি পি,মামলা নং ১৮০/৭৪/৭৫, মৌজা নুর পুর উত্তর জে,এল, নং ৬৫ খতিয়ান নং ১৯৭৯, দাগ, নং ৩০০৩, পরিমাণ ০৮২, একর,ইহাতে সাইল রকম ভুমি, বিজ্ঞ সহকারি জজ মহোদয়ের রায়, বর্ণিত ৩০০৩ দাগের ভুমি নিয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ সহকারি জজ আদালতে বন্দোবস্ত গ্রহীতা মকবুল হোসেন বাদী হয়ে, ১৬৭/২০০০, নং স্বক্ত্ব মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত, ২০/০৮/২০০০ ইং তারিখে আদেশ প্রদান করেন যে, অত্র মামলা ১/৪ নং সরকার বিবাদী গনের বিরুদ্ধে দোতরফাসূত্রে ডিগ্রি প্রদান করা হলো পক্ষগণ নিজ নিজ খরচ বহন করবেন, বাদীকে নালিশা ভূমিতে বৈধ বন্দোবস্ত গ্রহীতা হিসাবে ঘোষণা করা হলো, এবং বাদীর বন্দোবস্ত সন,সন, নবায়ন করে পাওয়ার অধিকারী মর্মে ঘোষণা করা হলো। বিজ্ঞ জেলা সহকারী জজ মহোদয়ের আদেশের বলে, ২০০০ সাল হইতে ২০১৬, সাল পর্যন্ত লিজ ফি নবায়ন করা হয়েছে, পরবর্তীতে নবায়নের আবেদন করলে উপজেলা ভূমি অফিস সদর হবিগঞ্জ বিজ্ঞ সহকারি জজ মহোদয়ের রায়ের কোন তোয়াক্কা না করে,

কোনো অপশক্তির কারণে নবায়ন করতে অনিচ্ছুকওতা প্রকাশ করেন, পরবর্তীতে আমার পিতা মৃত্যুবরণ করেন, আমার পিতা মৃত্যুবরণের পর হইতে আমি একাধিকবার সরকারি লিজ ফি দেওয়ার জন্য আবেদন করি।

কিন্তু উপজেলা ভূমি অফিস সদরে এসিলেন্ট মহোদয় আমার আবেদনের কোন মূল্যায়ন না করে অপশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

বিগত ৩০/১২/২০২০ ইং তারিখে আমি মোঃ জমির আলী পিতা মৃত মকবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হবিগঞ্জ সদর বরাবরে ২০ টাকা কোট ফি সংযুক্ত করে একটি আবেদন করি, আবেদনে উল্লেখ করি যে হালসন পর্যন্ত প্লিজ ফি নেওয়ার জন্য এবং নাম পরিবর্তন করে আমার নামে বন্দোবস্ত বহাল করার জন্য,

কিন্তু সদর উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মহোদয় আমার আবেদনের তোয়াক্কা না করে উনার মনগড়া একটি আদেশ না কি প্রদান করিয়াছেন, উক্ত আদেশের নকলের জন্য বিগত ০৮/০৪/২০২১ ইং তারিখ একটি আবেদন করি অদ্য পর্যন্ত এসিল্যান্ড মহোদয়ের আদেশের নকলটি পাচ্ছিনা,

তিনি কোন অপশক্তির কারণে আমাকে উনার আদেশের নকলটি দিচ্ছেন না।

এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি তাও কোন ফল পাচ্ছিনা,

এলাকার কিছু সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ রা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়, হইতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সময়ে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করার জন্য আমার পিতার নামীয় বন্দোবস্তীয় জায়গাটি টাকার বিনিময়ে নিয়ে নেন, নেওয়ার পর হইতে টাকা চাঁদাবাজি করেন। যাহার একটি অংশ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না কি দেওয়া হয়।

আমি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করবো আমাদের বন্দোবস্তীয় এ জায়গাটি এবং হবিগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ সহকারি জজ মহোদয়ের রায়ের প্রতি একটু লক্ষ্য রাখার জন্য,

আমি বর্তমানে নকলের অপেক্ষায় রয়েছি নকলটি পেলেই বিজ্ঞ সহকারি জজ মহোদয়ের আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

উপরোক্ত বিষয়টি সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দপ্তর হইতে আমার পিতার নামীয় বন্দোবস্তি যাগাটি কোন সন্ত্রাসী চাঁদাবাজকে যেন ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 2 =