নারী পাচারকারীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল পরীমনির

0
695

ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। সম্প্রতি তিনি ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি) নাছির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। পরীমনির দায়ের করা মামলায় সোমবার গ্রেফতার করা হয় মামলার প্রধান আসামি নাসির ও দ্বিতীয় আসামি অমিসহ পাঁচজনকে। এদিকে ঘটনার কথা উল্লেখ করে রোববার গণমাধ্যমকে পরীমনি বলে অমি ছিলো তার বন্ধু এবং সে-ই নায়িকাকে বোট ক্লাবে নিয়ে যায়। গ্রেফতার হওয়ার পরে বেরিয়ে আসে অমিকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, ক্লাবপাড়ায় অমিও একজন পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন এক সময় বিদেশে ছোটখাটো চাকরি করতেন। এরপর দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন।

তবে সংসারে ভাগ্য ফিরে যখন ছেলে অমি আশকোনায় তাদের সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন। এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে নারী পাচার করেই প্রচুর অর্থ কামান অমি। বিত্তশালী ও তাদের বখে যাওয়া সন্তানদের বিপথে নিতে অমির জুড়ি নেই। ঢাকার উত্তরা ও আশকোনায় তাদের একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে। ওই এলাকায় এক নামে তাকে সবাই চেনেন।

শত শত কর্মী বিদেশে পাঠিয়ে ও প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হন অমি। বিদেশে কর্মী পাঠানোর সূত্র ধরে সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে অমির পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। অমিদের একাধিক আলিশান বাড়িতে রয়েছে সুইমিংপুলও।

সোমবার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অমি ও নাসিরকে মঙ্গলবার ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা তিন নারীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + 18 =