নেপথ্যে চাঁদাবাজ আক্তার-রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ ফিরোজ আলী- রেলওয়ে মাষ্টার মরণ চাঁদ, জিআরপি ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম সহ তাদের সহচর সবুজ, তসলীম খান সহ আছে কিছু অপসাংবাদিক ও প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তা। রহস্যজনক ভাবে রক্ষকগণের চোখে কাঠের চশমা, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থান রয়েছে হুমকির মুখে।
হাবিব সরকার স্বাধীন:
গুলশান-বনানী, এয়ারপোর্ট খিলক্ষেত লাইনম্যান চাঁদাবাজ আনোয়ারের কান্ড। নানা অপর্কমের সাথে জড়িত তবুও আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে যুবলীগের নিরব ও পান ব্যবসায়ী করিমকে জাল টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়। রাতের আধারে আন্ডারগগ্রাউন্ডের সকল কিছুই আনোয়ারের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। গুলশান, বনানী, ফুটপাত সহ দোকান পার্কিং আনোয়ারের নেতৃত্বে চলমান।
বনানী ১৯ নং ওয়ার্ড ফুটপাত চাঁদাবাজি, পার্কিং, মাদক, জাল টাকা কারবারি মাদক সাপ্লায়ার নানান অপর্কমের অপরাধী। আইনশৃখলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে হুন্ডি আনোয়ার এখন বনানীতে বেপরোয়া। এলাকাজুড়ে নিজে অপরাধ সম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। সন্ধ্যা হলেই হুন্ডি আনোয়ার চক্রের সদস্যদের নিয়ে মাঠে নেমে পড়ে। আনোয়ারের নেতৃত্বে হাত বাড়ালেই মিলছে সর্বনাশা মাদক। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় দোকানে মাদক রেখে বিভিন্ন জায়গার সাপ্লাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লাইনম্যান আনোয়ারের বিরুদ্ধে।
হাজার রকম স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের সব এলাকা থেকে মানুষ বিদেশে গমন করার জন্য প্রতিদিন জড়ো হয় বাংলাদেশের আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দর এলাকায়।
কেউ আসে রেলে আবার কেউ আসে বাসে অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ী নিয়ে করে ভীড় তার মধ্যে আছে বিভিন্ন প্রশাসনের আসা যাওয়া। এমন অবস্থায় আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর হিসেবে সর্ম্পূর্ণ এলাকাটি থাকা উচিৎ নি:ñিদ্র নিরাপত্তার চাদরে। সু শৃৃঙ্খল শ্রেণি বিন্যাসে সৌন্দর্যে মন্ডিত হয়ে অপূর্ব পসড়া সাজিয়ে প্রথম মানের থাকা উচিৎ দোকান, আবাসিক হোটেল, মানসম্মত খাবারের দোকান, পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বিমান বন্দরের চারপাশের তিন চার কিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট পরিবেশ থাকা আবশ্যক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই পথেই বিদেশ সফরে যায়, বিদেশ থেকে আসে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গরাও।
ডমেসটিক এবং ইন্টারন্যাশনাল প্যাসেন্জারের সুবিধার জন্য পার্কিং এ রাখা ড্রাইভার এবং গাড়ির সু-নির্দিষ্ট কোন তালিকা নেই। অন্যদিকে রেলওয়ে এলাকার সামনে এবং পিছনের সকল কার পার্কিং এর জায়গায় বসানো হয়েছে অবৈধ দোকান। এসব অবৈধ দোকানের চাঁদাবাজির নেপথ্যে আক্তার-রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ ফিরোজ আলী-রেলওয়ে মাষ্টার মরণ চাঁদ সহ তাদের সহচর সবুজ, তসলীম খান সহ আছে কিছু অপসাংবাদিক ও প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তা। রহস্যজনক ভাবে রক্ষকগণের চোখে কাঠের চশমা।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থান রয়েছে হুমকির মুখে। সরেজমিনে জরিপ করে দেখা যায় দখল আর বখরাবাজি কবলিত বিমান বন্দর এলাকা ঘিঞ্জি হাটবাজারে পরিনত হয়েছে। বিমান বন্দরের প্রবেশ মুখ থেকে হাজ্বী ক্যাম্প, এ পি বি এন হেড কোয়াটার থেকে বিমান বন্দর রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তিল পরিমাণ ঠাই নেই। ২৪ ঘন্টাই যেন মনে হয় মেলা চলছে। বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পার্কিং এমনভাবে দখল করেছে মনে হয় যেন এদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। সেখানকার প্রধান রাস্তা ও অলি-গলি বাসষ্ট্যান্ড, কার পার্কিং সব কিছুই জবর দখল করে বসানো হয়েছে বাজার।
রাস্তার ফুটপাতের প্রতি ইঞ্চি জায়গায় স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান-পাটে ঠাশা। বিমান বন্দর রেল স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্ট এখন কয়েকশত দোকান-পাটের জমজমাট মার্কেট। রেল লাইনের কোনায় কোনায় ঝুপড়ি বস্তির দোকান-পাট। সবজি আর মাছের বাজার বসানোর ফলে স্টেশনে বহিরাগমন রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দুপুর গড়ালে বিমানবন্দর মোড় ক্রেতা-বিক্রেতার ও পথচারীর ভিড়-ভাড়াক্কায় শ্বাসরুধ্রকর হয়ে উঠে। তখন আশকোনা হজ্ব ক্যাম্প রোড ও বিমান বন্দর রেল ষ্টেশন মুখে যান-বাহন চলাচলতো দূরের কথা হেটে চলাচল করাই কঠিন। দেশের প্রধান আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় এই জঘন্যতম অবস্থার প্রতিকারও করার মত কেউ নেই।
সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, দৈনিক তিন থেকে চার লক্ষাধিক টাকার লেনদেন এই সহস্রাধিক দোকান পাটের অবৈধ বাজার জমিয়ে রেখেছে। বিভিন্ন প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা সহ রাজনৈতিক নেতা এ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে এয়ারপোর্ট রেল স্টেশন এবং তার আশেপাশে আট-দশটি ছিন্তাইয়ের ঘটনা ঘটছে। সম্পূর্ণ এলাকাটি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। জানা যায় রেলওয়ে এলাকায় অবৈধ দোকান পাট থেকে চাঁদার টাকা হাতিয়ে নেন আর.এন.বি’র কিছু অসাধু কর্মকর্তা সহ লাইনম্যান সবুজ, তসলীম খান, আক্তার, পূর্বের চাঁদাবাজ- মণির, শাহিন ও সেলিম, বাবু (যদিও বর্তমানে ওরা নেই বলে জানা যায়)।
দোকান পিছু আলাদা আলাদা রেট বসানো হয়েছে। সাধারণ হকার্স দোকান দৈনিক পাঁচশত টাকা, বেড়া ও ছাউনি যুক্ত দোকান প্রতি সাতশত টাকা, হোটেল রে¯ঁÍরা এক হাজার থেকে বারোশত টাকা, মাছ বিক্রেতা এক একটি দোকান প্রতিদিন এক হাজার থেকে বারোশত টাকা হারে চাঁদা নেয়া হয়। এ ব্যাপারে জাতীয় শ্রমিক লীগ এর একজন নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান “আপনারা লিখে কি করবেন, এই টাকা বড় নেতারাও ভাগ পায়”। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে রেলওয়ে নিরাপত্তার ইনচার্জ এ প্রতিবেদককে জানায় “রেল লাইন সীমানায় কোন অবৈধ দোকান পাট নাই বললেই চলে”। তিনি আরো বলেন “আমাদের পেছনে কারা আছে আপনারা জানেন না, বাড়াবাড়ি করলে ভাল হবেনা”, তার কথায় এটা স্পষ্ট হয় যে দুর্নীতির ব্যাপকতা, জবাব দিহিতার অভাব, উপরোস্থ বড় কর্মকর্তা ম্যানেজে এই দু:সাহসি কথার উদ্ভব হয়েছে।
বিমানবন্দর মোড় থেকে হজ্ব ক্যাম্প হয়ে আশকোনা পর্যন্ত পুরোপুরি বাজার। এলাকার বসবাসরত স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও চাকুরীজীবিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনার শেষ নেই। দক্ষিণখানে যেতে চলাচলে শত-শত ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা বড় স্ট্যান্ড এখন হজ্জ্ব ক্যাম্পের সম্মুখে। প্রতিদিন লেগে থাকে ভয়াভহ যানজট। পুলিশ সার্জেন্ট ও কনস্টেবলরা ভুলেও যানজট ছাড়াতে আসেনা। কারন হিসেবে জানা যায় এ সমস্ত অবৈধ গাড়ি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা উঠে।
এ সমস্ত ভিড়ে অনায়াসে মিসে যেতে পারে জঙ্গী সহ যে কোন প্রকারের ভয়ংকার আততায়ী। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্ন্তজাতিক সিটি গেইট, যেখান থেকে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী সহ দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ মেহমান, খেলোয়াড়দের যাওয়া আসা সেখানেই এরকম অবস্থায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বিষয়টি বড় ধরনের হুমকি কিংবা নাশকতা ঘটানোর কারণ হতে পারে বলে বিজ্ঞজনদের অভিমত।