সবাই সাবধানে থাকবেন এবং নিজের পরিবারকেও সাবধানে রাখবেন

0
574

জেনে রাখা ভাল  

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি? ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি ছোঁয়াচে? এই রোগের উপসর্গ কী কী?

**কী এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস?

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমায়কোসিস একটি বিরল ফাঙ্গাল সংক্রমণ। এটি শরীরে দেখা দিলে ৫৪শতাংশ রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, কোভিট সংক্রামক রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও তাঁর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। তখনই এই জাতীয় ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধে। যে সব রোগীকে দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের শরীরের এই জাতীয় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে।

**এই রোগের উপসর্গগুলি কী কী?

আপনার যদি এই ছত্রাকের সংক্রমণ হয় তবে গালে ব্যথা হতে পারে। এটি গালের একপাশে বা উভয় দিকেই হতে পারে, এটিই এই ছত্রাকের সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ। পরে, এই সংক্রমণের কারণে, মুখের ক্ষতও তৈরি হতে পারে। এগুলি ছাড়াও এই সংক্রমণ ত্বক সম্পর্কিত আরও অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।

চোখ প্রভাবিত করে এই ফাঙ্গাস

বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, ফাঙ্গাল সংক্রমণ চোখকেও প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে চোখে ফোলাভাব এবং দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া চোখের লালভাবও এই ছত্রাকের সংক্রমণের অন্যতম প্রধান লক্ষণ।

**কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস?

এই রোগ ছোঁয়াচে নয় ফলে এটি সরাসরি একজনের দেহ থেকে অন্যের দেহে যেতে পারে না৷ একমাত্র এই ধরণের ছত্রাকের (Fungus) ছোঁয়ায় এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে৷ ক্ষতি করতে পারে ফুসফুস বা সাইনাস৷ ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে চোখের সমস্যা, সবটাই ঘটতে পারে। রোগীর শরীরের অবস্থা, এবং কতটা জোরাল ফাঙ্গাস, তার উপর নির্ভর করে এর মৃত্যুর হার৷ বহু করোনা রোগীর অবস্থা অবনতি হওয়ার পিছনে রয়েছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।

**পরামর্শ : এই রোগের লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথে ডাক্তারের চিকিৎসা নিলে এই রোগ ভালো হয়ে যায়। এছাড়া ভিটামিন সি, ডি, ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, সব সময় পরিষ্কার মাস্ক পড়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, শারীরিক ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম সর্বোপরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ালে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × three =