নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। যে কোনো খাতের অনিয়ম দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকেই চলছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযান। এত কিছুর পরেও তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মচারীদের নানা অনিয়ম যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। আর ঘুষ গ্রহন খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক দুর্নীতিবাজ কর্মচারিই কোটিপতি বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনই এক দুর্নীতিবাজ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হুমায়ুন কবির। হুমায়ূন কবির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে ঢাকার সূত্রাপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত। তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হলেও আয় বহির্ভুত অর্থ উপার্জনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন এই শহরের একজন প্রথম শ্রেণীর বাসিন্দা হিসেবে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকায় ঢাকার মুগদা থানাধীন কাজীরবাগ ও মানিকনগর এলাকায় একাধিক বাড়ি গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে। কিভাবে একজন অফিস সহকারী কোটি কোটি টাকার মালিক হন! তার বৈধ আয়ের উৎস্যই বা কি? সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জনের দ্বারাই ব্যক্তি জীবনে এমন বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্ভব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে।
হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি করে দলিল সম্পাদনসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। হুমায়ূন কবিরের একই অফিসে দীর্ঘদিন চাকরি করার কারণ নিয়েও ধোঁয়াশার শেষ নেই।
এ বিষয়ে হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে অন্য কাউকে দিয়ে ফোন রিসিভ করিয়ে তিনি অনুপস্থিত বলে এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে ফোন করেও হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু সরকার প্রধানের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সারাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করছেন।
আশা করি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর এই জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করলেই আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।