“বেড়ায় যদি ক্ষেত খায়” মোবারক তোমার ভয় কোথায়- প্রমানাদি হাতে নেও, যেথা ইচ্ছা সেথায় যাও

0
671

তারাগঞ্জ প্রতিনিধীঃ ভুমিদস্যু, নৈরাজ্যকারী, দূর্নীতি, মাদক, অবৈধ্য অর্থবিত্তের মালিক, দেশ ও জনগনের সম্পদ হরন করে শিল্পপতি সে যেই হোক, তথ্য প্রমানাদি সংগ্রহে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। বেড়ায় ক্ষেত খেয়ে যায়, পড়তে থাকুন, ১৯৭১ইং সাল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা, ৪নং বাহাগিলী ইউনিয়ন, ৯নং ওয়ার্ড, বসুনিয়াপাড়ার বদ্ধভুমিতে সে এক করুন দৃস্য। প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেকুখ্যাত রাজাকার আঃ মান্নান, তার বর্বরতার শিকার, বাংলা ১৯শে আষাঢ়, বৃহঃপতিবার ভোর আনুমান ৪ ঘটিকার সময় এলাকায় খান সেনা নিয়ে এসে দুগ্ধপোষ্য ১৩ দিনের শিশুটি সহ গুলি করে ৯টি তাজা প্রান নিষ্প্রান করে। এর পরেও ক্ষান্ত হয় না, এলাকায় গঠন করে রাজাকার, আলবদর, আল সামস্, শুরু করে লোম হর্সক কর্মকান্ড। লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, চুরি-ডাকাতি, সম্পত্তি দখল, মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেওয়া সহ গনধর্ষনের মত ঘৃন্য কাজে লিপ্ত হয় বলে অভিযোগে জানা যায়। বাংলার আকাশে উদয় হয় স্বাধীনতার সূর্য, বাঙ্গালী জাতি পেলো সোনার বাংলাদেশ। তখন স্বরন করে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের কথা। স্বাধীন দেশটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরনে গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। শুরু হয় রাজাকারদের নাম তালিকাভুক্ত করন। এই রাজাকার আলবদর,আল সামস্ নেতা ও বর্বরতার শ্রেষ্ঠ আঃ মান্নান, সে কৌশলে তালিকা থেকে তার নাম বাদ করায়।

ইহা জানিতে পারিয়া এলাকার লোকজন জোরালো প্রতিবাদ জানালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কিশোরগঞ্জ থানা কমান্ড গত ১০-০২-১৯৯৯ইং মোতাবেক তার নাম তালিকাভুক্ত করেন এবং ২৩-০৩-২০১৭ইং মোতাবেক রাজাকার তালিকায় আঃ মান্নান এর ক্রমিক নং-৮১ প্রকাশ করেন। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, রাজাকার আঃ মান্নান এর পিতা রাজাকার আবেদ হাজী এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে প্রকাশ যুদ্ধপারাধী তালিকায় ক্রমিক নং-৭৪২। তার জেঠা রাজাকার চাটি মামুদ ওরফে ছবির তালিকায় ক্রমিক নং-৭৪৫ ও তার চাচা রাজাকার কজাবর ওরফে তফেল তালিকায় ক্রমিক নং-৭৪৬, সকলের পিতা মৃত ওসর মামুদ।

এলাকাবাসী অপরাধ বিচিত্রাকে জানায়, স্বাধীনতার ৫০ বছরে ১৯৭১ সালে স্বজন হারাগন বিভিন্নভাবে চেষ্ঠা করেও রাজাকার আঃ মান্নান এর বিচার নিতে পারে নাই। পূর্বেই সে ১৯৭১ সালে টাকার পাহাড় গড়েছে এবং সে একজন প্রত্যক্ষ রাজাকার। বর্তমানে তার এক ছেলে সেনা বাহিনীতে কর্মরত, আর এক ছেলে বিজিবি তে এবং ছেলের বউ সরকারী চাকুরী পরিবার পরিকল্পনায় কর্মরত আছে। অত্র এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জনাব মোবারক আলী বসুনিয়া রাজাকার আঃ মান্নান এর নাম মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে তালিকায় সংরক্ষন এবং তার বড় ভাই আতাহার আলী কে হত্যা করেছে, বিচার দ্বাবী করিয়া দেশের আইন প্রনয়নকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ ২৫ স্থানে অভিযোগ করেছেন।

“বেড়ায় ক্ষেত খেয়ে যায়” প্রবাদটির বিশ্লেষনে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাষনের কথা আশা করি পাঠক, সকলের মনে পরে যাবে, আমার দেশে মানুষ সাড়ে সাত কোটি, কম্বল দিলাম আট কোটি কিন্তু আমার কম্বলটি কোথায়। তাই অপরাধ বিচিত্রার অনুমান দেখুন ও পড়–ন। জনাব মোবারক আলীর অভিযোগে পুলিশ হেড কোয়াটার ঢাকা আই,জি,পি কর্তৃক নির্দেশনা পুলিশ সুপার নীলফামারী বরাবর এসেছে এবং পুলিশ সুপার মহাদয় অফিসার ইনচার্জ কিশোরগঞ্জ থানা বরাবরে বিষয়টি তদন্ত্য ও তদন্তের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ২৯-০৬-২০২০ইং কিশোরগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল ওহাব থানাতে বসে ৪ জন স্বজন হারা ও প্রত্যক্ষ দর্শীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। ১/ মোঃ হবিবর রহমান, ২/ ইউপি সদস্য মোরাদ হোসেন, ৩/ আঃ রহমান, ৪/ বাবুল হোসেন,

এই ৪ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রদানে রাজাকার আঃ মান্নান ফেসে যাবে বলে জানা যায়। গত ৩১-০৩-২০২১ইং কিশোরগঞ্জ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অরক্ষীত বসুনিয়া পাড়ার বদ্ধভুমি, ৪নং বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আতাউর রহমান দুলু রাজাকার আঃ মান্নান এর বর্বরতা সত্য, প্রতি দিনের বার্তা পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন ই্হা ছাড়াও দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে। গত ০৮-০৪-২০২১ইং ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল, নীলফামারী রাজাকার আঃ মান্নান এর বাড়িতে আসেন।

তার বাহির উঠানে বসে মান্নান এর ছোট ভাইদের স্বাক্ষী নেন। ১/ আঃ মালেক ওরফে নুলূ, ২/ আঃ রহিম ওরফে সুলু, ৩/ ওলিয়ার রহমান, সকলের পিতা মৃত রাজাকার আবেদ হাজী। ৪/ রফিকুল পিতা মৃত রাজাকার চাটি মামুদ। এর পর বাদী পক্ষের পরবর্তী স্বাক্ষী সার্কেল মহদয় তার নিজ কার্যালয়ে (সৈয়দপুর) গত ১৪-০৪-২০২১ইং তারিকে স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। ১/ বাদী মোঃ মোবারক আলী, ২/ মোছাঃ ওমেদা খাতুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র এলাকায় একজন ইসলাম ধর্মীয় সুনামধন্য ব্যক্তি গত ২৫-০৬-২০২১ইং রাজাকারের বাড়িতে তার নাতির খাতনা দেওয়ার উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে মাইক্রো বাসে করে যাহারা এসেছিলেন, দেখা যাক??

জনাব মোবারক আলী স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য এর প্রতিবেদন পাঠানোর পূর্বে তাহাকে পড়িয়া সোনা এবং প্রতিবেদনের কপি তাহাকে দেওয়ার দাবি করেছেন। ফলো আপ চলবে..

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − thirteen =