প্রকাশিত প্রতিবেদন মিথ্যা, ভিত্তিহীন

0
621

কাউন্সিলর মহসীনের ত্রাসের রাজত্বে ওসি ফারুকুল আলমের ভূমিকা-অন্যের জমি দখলে নিতে সন্ত্রাসী হামলা: জোরপূর্বক মুচলেকা আদায়’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে খিলগাঁও থানার ওসিকে জড়িয়ে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। কারো জায়গা জমি জবর দখলের ক্ষেত্রে থানার অফিসার ইনচার্জ বা অন্য কোনো কর্মকর্তার কোনরকম ভূমিকা থাকার প্রশ্নই উঠে না। কোনো বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে বিবাদমান গ্রুপসমূহের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা কিংবা মারামারির ঘটনায় খিলগাঁও থানার ওসি’র বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। সেখানে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, মনগড়া অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তাদের হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে মাত্র।

বিগত ২২ ও ২৩ মার্চের তারিখ উল্লেখ করে যে ঘটনার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে সেসব ঘটনার ব্যাপারে ওসি মোটেও অবহিত নয়। থানার হাজীর আনসারবাগ মেরাদিয়া এলাকার জনৈকা আয়েশা বেগমের উপর হামলা চালানো, মারধোর করার বিষয়েও থানাকে কেউ কিছু জানায়নি। আয়েশা বেগম থানায় মামলা করতে এসেছেন মর্মে যে কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা ও মনগড়া ছাড়া কিছু নয়।

থানায় অভিযোগ নিয়ে মামলা করতে আসা কোনো ভদ্র মহিলার মামলা গ্রহণের পরিবর্তে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে আপোস মিমাংসার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগও পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

ওই এলাকার আয়েশা বেগম না¤œী এক ভদ্র মহিলা জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ইতিপূর্বে মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন দাখিলের পর থেকেই খিলগাঁও থানা পুলিশ তার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তামূলক নজরদারি করে আসছে। তা সত্তেও আয়েশা বেগমের বাড়িতে হামলা চালানো কিংবা ওই পরিবারের সদস্যদের মারধোর করার ঘটনা অবান্তর।

জায়গা জমির বিরোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে খিলগাঁও থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, দুর্বৃত্তদের একচেটিয়া সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠা, অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণের যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সে অভিযোগেরও বিন্দুমাত্র ভিত্তি নেই।

বরং ফারুকুল আলম  খিলগাঁও থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকে ওই থানা এলাকায় লাগাতার মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদকমুক্ত স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছেন। এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার বর্তমান টিম যথেষ্ঠ সুনামও কুড়িয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

15 + thirteen =