প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিলের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করায় বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে বরগুনার তালতলী উপজেলায় অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য ‘ক’ শ্রেণির ১১০টি এবং ‘খ’ শ্রেণির ৫০টিসহ মোট ১৬০টি আধা পাকাঘর বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ওই ঘর নির্মাণের জন্য তৎকালিন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আমতলীতে কর্মরত) দ্বীপ জেলা ভোলার ‘নাঈম এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো: ফয়সাল হোসেন নয়নের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেন।
ওই চুক্তি অনুসারে ঠিকাদার দুই উপজেলার দুই শ্রেণির ১৫১টি ঘরের মধ্য থেকে ১৪১টি আধা পাকাঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। যার সমুদয় ব্যয় দুই কোটি ২১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
ওই নির্মাণ ব্যয়ের বিপরীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসাদুজ্জামান বিভিন্ন সময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো: ফয়সাল হোসেন নয়নকে দুই কোটি পাঁচ লাখ সাত হাজার টাকা পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট ১৬ লাখ ৮ হাজার টাকা তিনি আজ পর্যন্ত পরিশোধ করেননি।
ঠিকাদার নয়ন গত তিন মাস ধরে ওই পাওয়া টাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তাগাদা দিলেও তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে গত সোমবার ওই ঠিকাদার ফয়সাল হোসেন নয়ন ইউএনও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো: ফয়সাল হোসেন নয়ন দাবি করেন, ইউএনও মো: আসাদুজ্জামান নির্মাণ করা ১৪১টি ঘরের মধ্যে থেকে ১১৯টি ঘর থেকে তার কাছ থেকে ঘর প্রতি ১০ হাজার টাকা করে মোট ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
ইওএনও মো: আসাদুজ্জামান ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো: ফয়সাল হোসেন নয়নকে ঘর নির্মাণের চুক্তি অনুযায়ী সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইউএনওকে ঠিকাদারের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।