কলাপাড়ার কামার পাড়ায় নেই ব্যাস্ততা -কানে তেমন বাজছে না টুং টাং শব্দ

0
676

সৈয়দ মোঃরাসেল,কলাপাড়া(পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মানুষের আয় কমে গেছে। এ কারনে এলাকার অনেক পরিবার কোরবানার পশু কেনা থেকে বিরত রয়েছে। সেই সাথে কলাপাড়ার কামারশালায় চিরচেনা দৃশ্যও চোখে পড়ছে না। কামারশালাগুলোতে পোড়া কয়লার গন্ধ, হাঁপরের ফাঁসফাঁস আর হাঁতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে পশু জবাইয়ের কাজে ব্যবহৃত এ সব হরেক রকমের জিনিস তৈরি করার ব্যাস্ততাও নেই। চায়নায় তেরী সব হাতিয়ারে বাজার সয়লাব। ফলে অলস সময় পার করছে কামাররা।
কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার রতন কর্মকার জানান, কোরবানী এলেই অতিরিক্ত ছুরি, চাপাতির প্রয়োজন পড়ে। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে দাম একটু বেশি পাওয়া যায়। স্প্রিং লোহা ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে সাধারনত এ সব হাতিয়ার তৈরী করা হয়।

লোহার মান ভেদে প্রতি কেজি স্প্রিং লোহা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, সাধারনত দা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ৭০ থেকে ২০০ টাকা, মাংস তৈরীর দা ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দা, বটি শান দেওয়া ৫০ থেকে ৭০ টাকা। তবে এ বছরের করোনার কারনে অনেকে কোরবানী দিচ্ছে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের হাতেও নেই তেমন
রতন কর্মকার আরো জানান, গত কয়েক বছর যাবৎ বাজারে পাকা লোহার ছুরির চেয়ে চাইনিজ ছুরি চাপাতি চকচকে সহজে ব্যবহারযোগ্য দামেও সস্তা। তাই এ সব জিনিসের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে সাধারন ক্রেতারা। বর্তমানে কামার শিল্পকে গিলে খাচ্ছে চায়না বাজার।

ভবিষ্যতে প্রাচীন এ ক্ষুদ্রশিল্প কামারশালাকে টিকিয়ে রাখা মুসকিল হয়ে দাড়াবে। ফলে বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশীয় ঐতিহ্য কামার শিল্পের উপর। আর্থিক সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে ধিরে ধিরে বিলুপ্তির পথে যাবে কামার শিল্প।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 5 =